হামাগুড়িতে জীবনের ৪০ বছরজন্মের পরই প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয় শিশু রাশিদা। অসচেতন বাবা-মা খেয়াল করেননি সেটি। ধীরে ধীরে তা প্রকাশ পায়। চিকন ও অসার হয়ে আসে দুই পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ। কোনমতে দাঁড় করিয়ে দিলেও তা শরীরের ভার নিতে অক্ষম। তাই হামাগুড়িতেই কেটে গেছে রাশিদা খাতুনের জীবনের ৪০ বছর। আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় আজও পূর্ণতা পায়নি তার একটি হুইল চেয়ার কেনার স্বপ্ন।
হাঁটু গেড়ে দুই হাতে ভর করেই চলেন তিনি। কিন্তু কতদিন? দেখতে দেখতে বয়স এসে ঠেকেছে যুবক ও বৃদ্ধের মাঝামাঝিতে। এখন শরীর টেনে চলতে তার বড় কষ্ট হয়। বৃদ্ধ বাবা পৌরসভার বাগডাঙ্গা ফকিরটারী এলাকার আব্দুর রশিদের ঘরে বোঝা হয়ে থাকতেও মন চায় না তার। মেয়ে হয়েও অসুস্থ শয্যাশায়ী মা আনজু বেগমের শুশ্রূষা করতে না পারায় মন কাঁদে। শারীরিক সক্ষমতা না থাকায় তাই দুই হাত তুলে সর্বক্ষণ দোয়া করেন মায়ের জন্য। কাঁদেন নীরবে, নিভৃতে। তার এ কান্না ছুঁয়ে যায় দরিদ্র দিনমজুর বাবার হৃদয়।
একদিকে মেয়ে, অন্যদিকে স্ত্রী কারোরই জন্য তেমন কিছু করতে না পারার আক্ষেপ কুড়ে কুড়ে খায় তাকে। অন্তত মেয়েকে একটি হুইল চেয়ার কিনে দিতে পারলে তার দুঃখ দেখতে হত না। কিন্তু সামর্থ্য নেই। তাই সহৃদয় বিত্তবান ব্যক্তির সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। আপনার সহযোগিতায় কিছুটা কষ্ট লাঘব হবে তার।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সালেকুল ইসলাম জানান, প্রতিবন্ধীদের সেবা সামগ্রী দেয়ার বিষয়টি এখন আমাদের হাতে নেই। এটি সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের আওতায় প্রতিবন্ধী সেবা ও উন্নয়ন কেন্দ্রের মাধ্যমে দেয়া হয়। এজন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর তাদের আবেদন করতে বলা হয়েছে।
ইত্তেফাক/এমআর