শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

প্রতিবেশীর সঙ্গে প্রেম, স্কুলছাত্রীর নগ্ন ভিডিও

আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:২০

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বিড়ি শিল্প নগড়ী হারাগাছে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) দুই বন্ধু মিলে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এরপর সে ধর্ষণদৃশ্যের ভিডিও করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর প্রেমিকসহ দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার ছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে দুটি মামলা করেছেন।

এই মামলায় পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা উপজেলার সারাই ইউনিয়নের ভিতরকুটি মাঠেরপাড়া গ্রামের মানু মিয়া ছেলে মো. রাসেল মিয়া (২১) ও ধুমেরকুটি গ্রামের মমিন মিয়ার ছেলে মো. মনজুরুল ইসলাম (২২)। তারা রংপুর কারমাইকেল কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র।

হারাগাছ মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্র জানায়, স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে প্রতিবেশী কলেজছাত্র রাসেল দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। মেয়েটি প্রথমে সাড়া না দিলেও এক পর্যায়ে রাসেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এরপর রাসেল প্রেমের অভিনয় করে মেয়েটিকে রংপুর শহরের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করে। সে সময় রাসেলের সহযোগী মঞ্জুরুল গোপন ক্যামেরায় এ ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ধারণ করে। এরপর রাসেল ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

গত ৯ ফেব্রয়ারি রাসেল ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আবার ধর্ষণ করে। প্রথম ঘটনার দিন থেকেই মেয়েটি অনেকটা অপ্রকৃতিস্থ হয়ে পড়ে। সে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। হঠাৎ তার অস্বাভাবিক আচরণ পরিবারের সবাইকে ভাবিয়ে তোলে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে বিষয়টি পরিবারকে জানায়।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ বলেন, ‘মেয়েটির ভাইয়ের মামলার পর অভিযান চালিয়ে আসামি রাসেল ও তার সহযোগী মঞ্জুরুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছে। মেয়েটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ‘

আরও পড়ুনঃ দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত স্কুল ছাত্র আসিফ বাঁচতে চায়

তিনি আরও বলেন, ‘রাসেল ও তার সহযোগী মঞ্জুরুল গোপন ক্যামেরায় মেয়েদের ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ব্লাকমেইল করে মোটা অংকের টাকা আদায় করতো। এছাড়া তারা একটি চক্রের মাধ্যমে নগ্ন ছবি ও ধর্ষণের ভিডিও বিদেশে পাচার করতো। আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

ইত্তেফাক/নূহু