শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গৌরনদীতে ২দিনে ৪টি বাল্য বিবাহ বন্ধ

আপডেট : ১৪ মার্চ ২০১৯, ২৩:৫৪

২দিনে ৪টি বাল্য বিবাহ বন্ধ করলেন গৌরনদীর নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খালেদা নাছরিন ও মাহিলাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু। এর মধ্যে ৩টি বিয়ে বন্ধ করেছেন ইউএনও নিজে। অন্যটি বন্ধ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান পিকলু।

জানাগেছে, নিজেদের অমতে পরিবারের স্বজনরা একপ্রকার জোর করেই বাল্যবিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছিলো গৌরনদীর ৪ কিশোরীর।

আজ (বৃহস্পতিবার) রাতে গৌরনদী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী ও পৌর সদরের চরগাধাতলী মহল্লার আবুল কালামের কিশোরী কন্যা সাদিয়া আফরিনের (১৬) বিয়ের আয়োজন চলছিল। হঠাৎ রাত সাড়ে আটটার দিকে ওই বিয়ে বাড়ীতে ইউএও পুলিশ নিয়ে হাজির হন। তিনি বাল্য বিবাহ বন্ধ করে বরের বাবা ও কনের বাবাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

ওইদিন দুপুরে বিয়ের দিন ধার্য ছিলো মাহিলাড়া ইউনিয়নের জঙ্গলপট্টি পীর বাদশা মিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে সদ্য দাখিল পরীক্ষা দেয়া ছাত্রী ও জঙ্গলপট্টি গ্রামের শহিদ বেপারীর কন্যা মরিয়ম আক্তারের (১৬)। কনের বাড়ির সামনে সু-বিশাল বিয়ের গেট, প্যান্ডেল, আলোকসজ্জা, অতিথি আপ্যায়নের সকল আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছিলো। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু ওই বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ছাত্রীর মা-বাবাকে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে সচেতন করেন। পরবর্তীতে ওই ছাত্রীর মা তাদের কন্যা মরিয়মকে ১৮ বছরের পূর্বে বিয়ে দিবে না মর্মে লিখিত মুচলেকা দিয়ে বিয়ের পুরো অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়।

অপরদিকে নলচিড়া ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামের মনরঞ্জন ঢালী তার কন্যা প্রতিরানী ঢালী পুজার (১৫) অমতে হিন্দুরীতি অনুযায়ী বুধবার রাতে বিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন করেন। কনের বাড়ির লোকজনে শুধুমাত্র বরযাত্রীদের আগমনের অপেক্ষায় ছিলেন। এমনই সময় রাত নয়টার দিকে বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে কনের বাড়িতে পুলিশ নিয়ে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা নাছরিন। তিনি বাল্যবিয়ের সকল আয়োজন পণ্ড করে দিয়ে কিশোরীর বাবাকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নগদ তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন। একইসাথে প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত কনের বাবা ও তার স্বজনদের কাছ থেকে মুচলেকা রাখেন।

একইদিন দুপুরে উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের বড়দুলালী গ্রামের অলিল খন্দকারের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা নাছরিন হাজির হয়ে তার কন্যা সুমি আক্তারের (১৬) বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন।

ইত্তেফাক/আরকেজি