মানিকগঞ্জের সিংগাইরে প্রেমিককে বেঁধে তিন বখাটে যুবক প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেছে। পুলিশ সেই ভিডিও উদ্ধার করে দুই ধর্ষক ও তিন সহযোগিকে আটক করেছে। অন্য দুইজনকে আটকের চেষ্টা চলছে।
ঘটনার শিকার মেয়েটির মেডিকেল টেস্ট এবং আটক দুই ধর্ষক এবং ওই মেয়ের ডিএনএ টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এবং সিংগাইর থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন।
তিনি বলেন, সিংগাইর উপজেলার এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী হরিরামপুর উপজেলার এক কলেজ ছাত্রের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৯ এপ্রিল (শুক্রবার) দিবাগত রাতে ওই যুবক তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে সিংগাইরে যায়। এ সময় এলাকার সাত বখাটে যুবক তাকে আটক করে তার মোবাইলে কল দিয়ে ওই নারীকে বাড়ির বাইরে ডেকে আনে। পরে ওই প্রেমিককে বেঁধে তিন যুবক প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে। অন্য ৪ জন তাদের এই কাজে সহযোগিতা করে এই ঘটনাটির ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে। সেই ভিডিও দেখে আসামিদেরকে শনাক্ত করা হয়েছে। আসামিদের জেলহাজতে এবং ভিকটিমকে তার পরিবারের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
২০ এপ্রিল (শনিবার) ভোরে ওই যুবক তার ভাইকে মোবাইল ফোনে বিস্তারিত জানালে তিনি পুলিশের হেল্প লাইন ৯৯৯ এ ফোন করে সহায়তা চান। বিষয়টি সিংগাইর থানা পুলিশ অবগত হলে শনিবার সকালে তাদের ওই এলাকা থেকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে সিংগাইর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিংগাইর থানার ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, এই মামলার ভিত্তিতে এজাহারভুক্ত ৫ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে দিপু (১৯), নাজমুল (২১), ফজর আলী (১৮), শিপন খান (১৮) ও নোমাজ আলী (২০)। আরেক ধর্ষক সুজন দেওয়ান (২৮) ও সহযোগী চানুকে (২২) গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, ২১ এপ্রিল আটক আসামিদের মানিকগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল আমলী আদালতে প্রেরণ করলে আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর আলম ২৩ এপ্রিল মামলার শুনানীর দিন নির্ধারণ করেছেন। আসামিদের জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের অনুমতি নিয়ে আটক দুই ধর্ষক এবং ওই মেয়ের ডিএনএ টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ উলিপুরে পাষণ্ড পিতা-মাতার নির্যাতনের শিকার শিশু আশামনি
এর আগে শনিবার বিকেলে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসাপাতালে ভিকটিমের মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুত মেডিকেল রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট থানায় প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই হাসাপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান।
ইত্তেফাক/নূহু