শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সংখ্যালঘু নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে জায়গা দখল

আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ২১:১৯

জামালপুর সদরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে এবং অপর এক নারীকে লাঞ্ছিত করে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়টি প্রকাশ পেলে চাঞ্চল্যের সৃষ্ট হয়।

জামালপুর সদরের কেন্দুয়া কালিবাড়ির খামারপাড়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক সুমন দেবনাথ অভিযোগ করেন, জমি নিয়ে বিরোধ চলছে স্থানীয় মোকছেদ আলীর পুত্র প্রভাবশালী সুলতান মাহমুদ ফকিরের সঙ্গে। সুমন দেবনাথের সাথে ১৫ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ থাকলেও গত ১৮ এপ্রিল বুধবার বিরোধপূর্ণ জমিসহ সঙ্গে থাকা আরও ১৬ শতাংশ জমি জবর দখল করে সুলতান মাহমুদ ফকির। পর ওই জমিতে রাতারাতি পানের বরজ তৈরি করা হয়।

এ ঘটনার প্রতিবাদ করার সুমন দেবনাথের মা ৫৮ বছর বয়সী প্রতিভা দেবনাথকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন সুলতান মাহমুদ ফকির। এ সময় প্রতিভা দেবনাথের নাতী স্কুল শিক্ষিকা সুবর্ণা দেবনাথকে লাঞ্ছিত করা হয়। পরে স্থানীরা তাদের উদ্ধার করেন।

জায়গা দখল করে রাতারাতি নির্মাণ করা হয় পানের বরজ।

নির্যাতনের ঘটনায় সদর উপজেলার নারায়ণপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সাধারণ ডায়েরি এবং পরদিন সদর থানায় সুলতান মাহমুদ ফকিরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে নির্যাতিত পরিবার। গত ১৯ এপ্রিল পুলিশ মামলার আসামি নজরুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। রবিবার মামলার আসামিরা আদালত থেকে জামিন নিয়েছে। জামিনে থাকা আসামীরা সংখ্যালঘু ওই পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বলে জানায় পরিবারটি।

আরও পড়ুন: ‘স্যারেরা অবগত আছেন’

প্রভাবশালী সুলতান মাহমুদ ফকির নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিজের ক্রয় করা জমি তিনি দখলে নিয়েছেন।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সালেমুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।