বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রংপুরের দুই তরুণী গণধর্ষণ মামলায় দুজন গ্রেফতার

আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ২০:০১

রংপুরের মিঠাপুকুরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর দুই তরুণী গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছেন র‌্যাব-১৩ ও জেলা ডিবি পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর সাভার এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি রতন মিনজিকে (২০) গ্রেফতার করেন র‌্যাব-১৩ এর একটি দল। স্বপন মিনজি ওরফে মামুনকে (২৫) মিঠাপুকুর থেকে গ্রেফতার করে রংপুর জেলা ডিবি পুলিশ।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় রংপুর র‌্যাব-১৩ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান আসামি রতন মিনজিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-১৩ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক।

এদিকে মামলার অজ্ঞাত আসামি স্বপন মিনজি ওরফে মামুনকে (২৫) মিঠাপুকুর থেকে গ্রেফতার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবি পুলিশের ওসি শরিফুল ইসলাম।

র‌্যাব-১৩ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক জানান, রংপুর জেলার পীরগাছা থানাধীন সোম নারায়ন গ্রামের বধু মিনজির ছেলে রতন মিনজির সঙ্গে মিঠাপুকুরের আদিবাসী পল্লীর এসএসসি পরীক্ষায় অবতীর্ণ এক স্কুল ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘটনার দিন গত ১৮ এপ্রিল মোবাইল ফোনে দেখা করতে ওই ছাত্রীকে ডাকে রতন। ওই দিন বিকেলে ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া চাচাতো বোনকে সঙ্গে নিয়ে ভগ্নিপতির বাড়ি পীরগাছায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় দুই বোন।

অপর আসামি স্বপন মিনজি ওরফে মামুনকে (২৫) পীরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে রংপুর জেলা ডিবি পুলিশ।

এরপর রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকায় পৌঁছুলে সেখানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা রতন ও তার দুই বন্ধু হযরত এবং মামুন মিলে একটি ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে গিয়ে দুই বোনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তারপর এ ঘটনা কাউকে বললে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়। এতে দুই বোন ভীত হয়ে কাউকে কিছু না বলে পরদিন তারা বাড়ি ফিরে যায়। এরপর লজ্জা এবং ক্ষোভে বিকেল ৫টার দিকে শয়নকক্ষে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে বড় বোন।

বিষয়টি প্রথমে কেউ না জানলেও পরে ওই ছাত্রীর মুঠোফোনে প্রেমিক রতনের ছবি এবং তাকে উদ্দেশ্য করে লেখা ক্ষুদে বার্তায় আত্মহত্যার নেপথ্যের কারণ বেরিয়ে আসে। ঘটনার পাঁচদিন পর ২৩ এপ্রিল আত্মহত্যাকারী ছাত্রীর এক বোন বাদী হয়ে কথিত প্রেমিক রতনসহ তিনজনকে আসামি করে মিঠাপুকুর থানায় একটি মামলা করেন।

র‌্যাব-১৩ এর অধিনায়ক আরও জানান, মামলা দায়েরের পর র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর সাভার এলাকায় আত্মগোপনে থাকা রতন মিনজিকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুনঃ পাকুন্দিয়ায় চার ডাক্তার দিয়ে চলছে তিন লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে রতন মিনজি ও স্বপন মিনজি ওরফে মামুনের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে বলে উভয়েই জানান। এই মামলার অপর এক আসামি হযরত পলাতক রয়েছে।

ইত্তেফাক/নূহু