নাটোরে ভাবী ও ভাতিজাকে হত্যা করেছে দেবর। নাটোরের নলডাঙ্গায় প্রতিবন্ধী শিশু ভাতিজা আব্দুল্লাহর কান্না ও চেঁচামেচিতে বিরক্ত হয়ে দেবর এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। নিহতের নাম শারমিন বেগম ও শিশু আব্দুল্লাহ। ঘাতক দেবরের নাম মাহাবুল আলম মুক্তা (২৩)। মা ও শিশু ছেলেকে খুনের ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় নিহতের দেবর মাহাবুল আলম মুক্তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন জানান, পারিবারিক কলহে ভাবী শারমিন বেগমের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন দেওর মাহাবুল আলম মুক্তা। এছাড়া প্রতিবন্ধী শিশু ভাতিজা আব্দুল্লাহর নিয়মিত চিৎকার চেঁচামেচিতেও বিরক্ত ছিল সে। এজন্য ভাই মাহমুদুল হাসান মুন্নার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে ভাবী ও ভাতিজাকে হত্যা করে দেবর মুক্তা।
হত্যার পর পুলিশ মাহাবুল আলম মুক্তা ও তার স্ত্রী তানিয়া বেগমকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে মাহাবুল আলম মুক্তা তার ভাবী ও ভাতিজাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: সবজির ট্রাকে ৩৯৪ বোতল ফেনসিডিল, আটক-২
বুধবার সকালে নাটোরের নলডাঙ্গার বাঁশিলা উত্তরপাড়া গ্রাম থেকে মা শারমিন বেগম ও তার দুই বছরের শিশু সন্তান আব্দুল্লাহর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত শারমিন বেগমের বাবা, উপজেলার হলিদা কলসি গ্রামের ওমর আলী বাদী হয়ে নিহতের দেওর মাহাবুল আলম মুক্তাকে আসামি করে নলডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
ইত্তেফাক/নূহু