ব্যবসায়ীকে পুলিশ লাইনসে ডেকে পেটানোর অভিযোগ বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কুদরত-ই-খুদা শুভর বিরুদ্ধে তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পাওয়া বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডলকে প্রধান করে সোমবার এই কমিটি করা হয়েছে।
বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা জানান, কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী ও সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি-হেড কোয়ার্টার) তাপস কুমার পাল।
কমিটির প্রধান আরিফুর রহমান মণ্ডল বলেন, বুধবার থেকে তদন্তের কাজ শুরু হবে। সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এদিকে অভিযুক্ত এএসপির বিরুদ্ধে এখনও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তা শঙ্কার কথা জানিয়ে সোমবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ব্যবসায়ী আহমেদ সাব্বির।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এক বছর ধরে তিনি বগুড়া জেলা পুলিশের মুদ্রণের কাজ ছাড়াও ক্রোকারিজসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী সরবরাহ করে আসছেন। কিন্তু এএসপি কুদরত-ই-খুদা মালামাল সরবরাহের বিল ঠিক মত দিচ্ছিলেন না। তিনি পুলিশ সুপারের কাছ থেকে নির্দিষ্ট বিল অনুমোদন করে নিলেও কম বিল দিয়ে বিদায় করতেন। এক পর্যায়ে তিনি বিষয়টি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোকবুল হোসেনকে অবহিত করেন। এতে এএসপি ক্ষিপ্ত হন। পাশাপাশি তার অর্ডার অনুযায়ী চারশ কপি ফটো বুক সরবরাহের পর বিল চাওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হন।
আরও পড়ুন: হাজীগঞ্জে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম আটক
সাব্বির অভিযোগ করে বলেন, ১২ মে রাতে এএসপি তাকে মুঠোফোনে পুলিশ লাইনসে ডেকে পাঠান। এরপর গালিগালাজ করে রাস্তায় ওপর ফেলে মারধর করেন। পরে তিনি চিকিৎসা শেষে ১৩ মে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
ইত্তেফাক/অনি