শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মানুষের ধাওয়ায় স্ট্রোক করে হরিণের মৃত্যু

আপডেট : ২১ মে ২০১৯, ১৯:৪২

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের দারভাঙা গ্রামের দুটি হরিণ লোকালয়ে চলে আসে।  চোখ পড়ে মানুষের। হরিণ দুটিকে ধরার জন্য তারা মরিয়া হয়ে ওঠে। লোকজনের তাড়া খেয়ে একটি হরিণ বনে পালিয়ে যায়। অপরটি অসুস্থ হয়ে ধরা পড়ে। খবর পেয়ে হরিণটি উদ্ধার করে বন বিভাগ। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় কয়েকজন জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ওই ইউনিয়নের দারভাঙা গ্রামের লোকজন লোকালয়ে দুইটি চিত্রা হরিণ দেখতে পায়। এরপর তারা হরিণ দুইটিকে ধরতে অতিউৎসাহি হয়ে ওঠে। একপর্যায় বেশ কিছু লোকজন হরিণ দুটিকে ধাওয়া করলে একটি পাশের নয়ারচর বনে পালিয়ে যায়। অপরটি অনেক ধস্তাধস্তি পর লোকজনের হাতে ধরা পড়ে। পরে তারা রশি দিয়ে হরিণটিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে উল্লাস করে।

বিষয়টি জানাজানি হলে সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে বন বিভাগের সদস্যরা হরণটিকে উদ্ধার করে। পরে অবমুক্ত করার জন্য ট্রলার যোগে সোনারচর অভয়ারণ্যে নেওয়ার পথে ওই হরিণটি মারা যায়।

আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে পুলিশ ও জেলেদের সংঘর্ষ, আতংকে এক নারীর মৃত্যু
 
বন বিভাগের সোনারচর ক্যাম্পের বিট কর্মকর্তা প্রণব কুমার মিত্র বলেন, ধাওয়ার কারণে হরিণটি অসুস্থ হয়ে হিট-স্ট্রোক করে মারা যেতে পারে। হরিণ গুলোতো আর মানুষের কোনো ক্ষতি করেনি। তবু কেন তারা এভাবে তাড়া করলো! মানুষ এতো অতিউৎসাহী না হলে হয়তো হরিণ দুটি বনে অবমুক্ত করা যেতো, বাঁচতো বন্য প্রাণীটি। 
 
এ ব্যাপারে বন বিভাগের চরমোন্তাজ রেঞ্জ কর্মকর্তা অমিতাভ বসু বলেন, ধারণা করা হচ্ছে-পানি বেড়ে যাওয়ায় স্রোতে ভেসে হরিণটি লোকালয়ে চলে আসে। এখন আমরা মারা যাওয়া হরিণটিকে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার মাধ্যমে ময়না তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

ইত্তেফাক/অনি