বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বগুড়ার শেরপুরে বাড়ির আঙ্গিনা থেকে ধান কিনছে খাদ্য বিভাগ

আপডেট : ২২ মে ২০১৯, ১৩:১৯

গুদামে গুদামে কৃষকের ধান, বাঁচে কৃষক বাঁচে প্রাণ, এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় বগুড়ার শেরপুরেও অতি দরিদ্র কৃষকের বাড়ির আঙ্গিনা থেকে শুরু হয়েছে খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ধান সংগ্রহ অভিযান।

গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নে ধান সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস.এম সাইফুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শেরপুর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ হারুন-উর-রশিদ, খামারকান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবসহ গ্রামের কৃষকবৃন্দ। প্রথম দিন খামারকান্দি ইউনিয়নের খামারকান্দি গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম ও আবু সাঈদ এক টন করে দু’জন কৃষকের কাছ থেকে দুই টন ধান সংগ্রহ করা হয়। ন্যায্য মূল্য ধান বিক্রয় করতে পেরে খুশি হয়েছেন তারা। এছাড়া উপজেলায় যেসব কৃষকদের কৃষিকার্ড রয়েছে তাদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চাষিদের দাবি অনুযায়ী বাজারের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি মূল্যে কেনা হচ্ছে এ ধান।

আরও পড়ুন: ঢাকা-নারায়ণ রুটে বিআরটিসির এসি বাস সার্ভিস চালু

শেরপুর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ হারুন-উর-রশিদ জানান, শেরপুর উপজেলায় মোট ৬’শ ৩৫ মে.টন ধান, ২হাজার ২’শ ৫৭ মে.টন আতপ চাল এবং ১৪ হাজার ৫’শ ৯২ মে.টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাজারের চেয়ে পাঁচ ভাগ আদ্রতা কমে ১৪ ভাগ আদ্রতার ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি কৃষি অফিস থেকে পাঠানো তালিকা অনুযায়ী কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করছেন। এরইমধ্যে বেশ সাড়াও পাওয়া গেছে।

এদিকে, ধান বিক্রি করে খামারকান্দি গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম ও আবু সাঈদ জানান, ধান বিক্রিতে বাজার থেকে দাম বেশি পাওয়া গেছে। তারা মন প্রতি এক হাজার ৪০ টাকা পেয়েছেন। অথচ বাজারে ব্যবসায়ীরা ধান মণপ্রতি মোটা-চিকন ভেদে পাঁচ থেকে ছয়শ টাকা দামে কিনছেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস.এম সাইফুল ইসলাম বলেন, সরকার ন্যায্য মূল্য দিতে অতি দরিদ্র কৃষকের বাড়ির আঙ্গিনা হতে সরাসরি ধান ক্রয় শুরু করেছে। সরকারিভাবে ধানের দাম ২৬ টাকা ও চালের দাম ৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার কৃষকের কথা চিন্ত করেই এ ব্যবস্থা নিয়েছে।

ইত্তেফাক/এমআরএম