বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে অন্তঃসত্ত্বা, পরে কৌশলে গর্ভপাত

আপডেট : ২২ মে ২০১৯, ২১:৪৯

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় এক কিশোরীকে অন্তঃসত্ত্বা করে কৌশলে গর্ভপাত করানোর অভিযোগে লেবু মিয়া (৪০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। লেবু মিয়া গঙ্গাচড়া উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের চৌদ্দমাথা পাইকারটারী গ্রামের ফজলুল হকের পুত্র। তার বিরুদ্ধে এলাকায় বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে একাধিক মেয়ের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, লেবু প্রায় দেড় বছর আগে পাশের গ্রামের এক মহিলার সঙ্গে ধর্ম বোনের সম্পর্ক গড়ে তোলে। দিনমজুর ওই দম্পতির বাড়িতে সে প্রায়ই যাতায়াত করত। এক পর্যায়ে ওই মহিলার ১৪ বছরের কিশোরী মেয়েকে বিয়েসহ নানা প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে লেবু। এতে কিশোরীটি সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়ে।

প্রায় এক মাস আগে তার মা শারীরিক পরিবর্তন দেখে মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদে লেবুর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। পরে লেবুকে বিয়ে করতে বললে সে শারীরিক সম্পর্কে কথা স্বীকার করে কিছু টাকা নিয়ে সন্তানটি নষ্ট করতে বলে।

এ ঘটনায় কিশোরীর মা গত ৮ মে রংপুর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। মামলাটি তদন্তধীন থাকা অবস্থায় গত ১৭ মে মর্ণেয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম ও ওই ওয়ার্ডের মৃত মতলেব মিয়ার স্ত্রী হামিদা বেগম লেবুর সঙ্গে যোগসাজশে ওই কিশোরীকে বাড়ির বাইরে নিয়ে যায়। পরে ভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়ার কথা বলে গর্ভপাত করানোর ট্যাবলেট খাওয়ায়। 

আরও পড়ুন: ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে অসঙ্গতি, সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ

রক্তক্ষরণ শুরু হলে ওই কিশোরীর মা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। সেখানে মৃত সন্তান প্রসব করে কিশোরীটি। পরে তার মা গত মঙ্গলবার ঘটনার সঙ্গে জড়িত লেবু, ইউপি সদস্য শরিফুল ও হামিদাকে আসামি করে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মশিউর রহমান বলেন, লেবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতারণার মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে একাধিক নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ রয়েছে। মামলার অপর আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। 

ইত্তেফাক/অনি