শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নদীপথের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা হবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

আপডেট : ২৩ মে ২০১৯, ২৩:২৬

নাব্যতা ফিরিয়ে এনে দেশের নদীপথের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, নাব্যতা সংকটের কারণে ধীরে ধীরে ঐতিহ্যবাহী নৌপথগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। নৌপথের নাব্যতা ফিরিয়ে এনে দেশের আবহমান ঐতিহ্য পুনঃরুদ্ধারসহ আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ঘটাতে, ইশতিহার অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দশ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

জেলার ভোগাই-কংশ নদীর নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ হতে শেরপুরের নালিতাবাড়ি পর্যন্ত নৌপথ খননের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বৃহস্পতিবার নেত্রকোনা জেলার পূবর্ধলার জারিয়া এবং দুর্গাপুরের ঝাঞ্জাইলে ভোগাই-কংশ নদীর খনন কাজ উদ্বোধন করেন।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের পরিবহন সেক্টরে নৌপরিবহন ব্যবস্থা একটি সাশ্রয়ী, আরামদায়ক ও পরিবেশ বান্ধব যোগাযোগ মাধ্যম। আওয়ামী লীগ ছাড়া এ খাতের উন্নয়নে কেউ কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনার ধারাবাহিক পদক্ষেপের কারণে আজকে নদীভিত্তিক নৌপথ সমৃদ্ধ হচ্ছে। চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দরের উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি বলেন, চলমান এ উন্নয়নের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারেসাত হোসন বেলাল বীর প্রতীক, সংসদ সদস্য মানু মজুমদার, বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

মোহনগঞ্জ হতে নালিতাবাড়ি পর্যন্ত ১৫৫ কিলোমিটার নৌপথে এক কোটি ঘনমিটার মাটি খনন করা হবে। এজন্য ব্যয় হবে ১৩৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। পাঁচটি কোম্পানি যথা- বসুন্ধরা ইনফ্রাস্টাকচার ডেভলপমেন্ট লিমিটেড, সোনালী ড্রেজার লিমিটেড, বিডিএল- এসআরডিসি, এস এস রহমান-মাতৃবাংলা এবং নবারুন ট্রেডার্স লিমিটেড মোহনগঞ্জ, বারহাট্টা, পূর্বধলা, ফুলপুর, নালিতাবাড়ি উপজেলায় খনন কাজ করবে।

উল্লেখিত স্থানে প্রস্থে ৮০-১০০ ফুট এবং গভীরতায় ৮ ফুট খনন করা হবে। খনন কাজ ২০১৯ এর মে থেকে শুরু হয়ে ২০২১ এর জুন পর্যন্ত চলবে।

ইত্তেফাক/আরকেজি