শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রাণীনগরে কৃষকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান কিনলেন নির্বাহী কর্মকর্তা

আপডেট : ২৪ মে ২০১৯, ০৯:৩৫

গ্রামে গিয়ে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সরকারি মূল্যে ধান কিনছেন নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা প্রশাসন, কৃষি অধিদপ্তর ও খাদ্য বিভাগ। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে তালিকাভুক্ত কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনছেন নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন।

এর অংশ হিসেবে ওইদিন উপজেলার ২নং কাশিমপুর ইউনিয়নের ত্রিমোহানী গ্রামে গিয়ে দুইজন কৃষকের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ২মেট্টিক টন ধান ক্রয় করেন নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন। এছাড়াও ইউনিয়নের কুজাইল, বেতগাড়ী, কুবরাতলীসহ বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে ধান ক্রয় করা হয়। এসময় নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম, খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম সরদার, খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহা. শরিফুল ইসলাম লিটন, কাশিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান বাবু, উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রতন প্রমুখ।

আরও পড়ুন: উদ্বোধনীর অপেক্ষায় দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতী এবং মেঘনা সেতু

কৃষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, নির্বাহী কর্মকর্তা এসে ধান সরাসরি কৃষকদের কাছে ধান কিনবেন এমন কথা শুনে আমি ১০ মন ধান বিক্রি করেছি। সরকার নির্ধারিত মূল্যে আমি ধানের দাম পেয়েছি। এমন ভাবে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সরকারি মূল্য দিয়ে ধান কিনলে সত্যিই কৃষকরা উপকৃত হবেন। কৃষকদের আর লোকসানে পড়তে হবে না।

কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, আজ প্রকৃত কৃষকের কাছে থেকে ধার ক্রয় করা হচ্ছে। সরকারের নির্দেশ মোতাবেক যতটুকু পারা যায় স্বচ্ছতার ভিত্তিতেই উপজেলার তালিকাভুক্ত কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। উপজেলার বেশি সংখ্যক কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করার লক্ষ্যে প্রতিজন কৃষকের কাছ থেকে ১মেট্টিকটন করে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। কৃষকদের কৃষিকার্ড ও ব্যাংক একাউন্ট করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও ব্যাংকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। তবে প্রান্তিক অনেক কৃষক কৃষিকার্ড ও ব্যাংক একাউন্ট না থাকায় ধান দিতে পারছে না। এতে কৃষকরা ধান বিক্রিসহ অন্যান্য কৃষি সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, কিছু মধ্যস্বত্বভোগীদের সিন্ডিকেটের কারণে কৃষকেরা সরকারি মূল্যে সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করতে পারছেন না। তাই যে কোনো উপায়ে ধান কেনাবেচায় কৃষকদের সরাসরি সম্পৃক্ত করার ও ধান বিক্রয়ের বিষয়ে গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকার কৃষকদের সচেতন করার জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন,কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় প্রশাসন সব সময় তৎপর থাকবে। তিনি ও তার কর্মকর্তারা কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার তদারকি করবেন। কোনো ব্যবসায়ী কৃষক সেজে ধান বিক্রির চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমিক ভাবে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে কৃষকের বাড়িতে গিয়ে সরাসরি সরকারি ভাবে ধান ক্রয় করা হবে। যতদিন না লক্ষ্যমাত্রা পূরন হবে ততদিন এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলায় সরকারি ভাবে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ২৬ টাকা মূল্যে ৫শত ৩২ মেট্টিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে।

ইত্তেফাক/এমআরএম