শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গৌরনদী থানার ওসির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট

আপডেট : ২৪ মে ২০১৯, ১৭:৩৮

বরিশালের গৌরনদী মডেল থানার ওসি গোলাম সরোয়ারের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে (রিট নং-৫৮৩৫)। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও মাইনরিটি ওয়াচের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. রবীন্দ্র ঘোষসহ তার অপর ২ সহযোগীকে থানায় দীর্ঘ ১১ ঘন্টা আটক রেখে হয়রানীর অভিযোগে এ রিট হয়েছে।

বৃহস্পতিবার মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি এফআরএম নাজমুল হাসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের দ্বৈত বেঞ্চে রিটটি দায়ের করেন মাইনরটি ওয়াচের চেয়ারম্যান এ্যাড.রবীন্দ্র ঘোষ। রিটে অন্য যাদের বিবাদী করা হয়েছে তারা হলেন, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপি, বরিশালের পুলিশের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার। 

মহামান্য আদালত রিটটি গ্রহণ করেন এবং দেশের প্রথম শ্রেণির একজন নাগরিক সিনিয়র আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার ২ সহযোগীকে কেন বিনা দোষে দীর্ঘক্ষণ থানায় আটক রেখে হয়রানী করা হয়েছে তা জানতে চেয় স্ব-রাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপি, বরিশালের পুলিশের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। একই সাথে হয়রানীর বিষয়টি তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে আদালতকে অবহিত করার জন্য পুলিশের আইজিপির প্রতি নির্দেশ প্রদান করেছেন হাইকোর্ট।   

জানা গেছে, গত ১ মে বুধবার বেলা ১১ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দীর্ঘ ১১ ঘন্টা বরিশালের গৌরনদী মডেল থানায় আটক ছিলেন বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. রবীন্দ্র ঘোষ সহ তার অপর ২ সহযোগী। অবশেষে রাত সাড়ে দশটায় তারা মুক্তি পান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায়।

মাইনরিটি ওয়াচের চেয়ারম্যান এ্যাড. রবীন্দ্রনাথ ঘোষ হাইকোর্টে দায়েরকৃত ২৩ পৃষ্টার রিটে উল্লেখ করেন, ‘গৌরনদী এলাকার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামের মাইনারটি পরিবারের স্কুল ছাত্র সৌরভ মন্ডল (১০) হত্যাকাণ্ড ও সম্প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি মন্দির ভাঙার ঘটনার সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে গত ১ মে বুধবার বেলা ১১ টার দিকে আমি গৌরনদী থানায় যাই। এ সময় আমার সঙ্গে ছিলেন মানবাধিকার সংগঠনের অপর ২ সদস্য  দিলিপ কুমার রায় ও  রসরাজ চৌধুরী। আমরা ওসিকে আসার আগেই মোবাইলে কল করে আসি। 

গৌরনদীতে মাইনরিটি সম্প্রদায়ের মন্দির ভাঙাসহ নানাবিধ সমস্যার কথা ওসি সাহেবকে জিজ্ঞাসা করতেই তিনি ক্ষিপ্ত হন। তিনি ক্ষেপে বলেন আমি কারো চাকর নই। এই বলে আমাদের ৩ জনের মোবাইল ও ক্যামেরা কেড়ে নেন।’

তিনি আরো জানান, ‘ওসির নির্দেশে এএসআই সোহাগ আমাদের ধাক্কাতে ধাক্কাতে ওসির রুম থেকে বের করে তদন্ত ওসির রুমে নিয়ে যান। সেখানে দীর্ঘক্ষণ আমাদের আটক রাখা হয়। এ সময় তাদের কোন খাবার পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুর রব হাওলাদার, বরিশাল জেলা পুলিশের অপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ রাকিব হোসেন ও চাঁদশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কান্ত দের মধ্যস্থতায় আমাদের রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’

আরও পড়ুন: রংপুরে পুকুরে ডুবে মেডিকেল ছাত্রের মৃত্যু

এ ব্যাপারে গত  ২মে দৈনিক ইত্তেফাকের অনলাইন সংস্করণে ‘আমি কারো চাকর নই: গৌরনদীর ওসি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। 

ইত্তেফাক/নূহু