রমজানের শুরু থেকে তীব্র গরমের পর শুক্রবার মাঝরাতে স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে। রাত ১১টার দিকে হঠাৎ করেই ঝড় ও ঘূর্ণি হাওয়াসহ বৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে বইয়ে গেছে ঝড়ো বাতাসও। এতে একদিকে স্বস্তি এলেও হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন রাতের ঈদবাজারে আসা নারী-শিশু ও বয়স্করা।
টানা কয়েক সপ্তাহের তীব্র গরমে অতিষ্ট হয়ে পড়েছিল কক্সবাজারবাসী। জেলার উপকূলসহ আট উপজেলার সর্বত্র সব বয়সের মানুষ তীব্র দাবদাহে হাঁপিয়ে ওঠে। সবার মুখে বৃষ্টির প্রার্থণা ঝরেছে। গত পক্ষকালের মাঝে দুয়েকবার বৃষ্টি হয়েছে। সাথে বজ্রপাত হলেও সেই বৃষ্টিপাত ক্ষণিকের জন্য ছিল। আর বৃষ্টি থামার পরই আবার ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়েছে জনজীবন। কিন্তু শুক্রবার রাতের বৃষ্টিটি শুরুর আগে ঠাণ্ডা বাতাস নিয়ে এসে ঘণ্টা খানেক ঝরেছে। ফলে তীব্র গরমের পর রাতের বৃষ্টিতে স্বস্তি মিলেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী আজিজ মৌলা চৌধুরী।
আরও পড়ুন: কিলোগ্রামের পর এবার বদলে যাচ্ছে সেকেন্ডও!
কক্সবাজার জেলা জজ আদালতের আইনজীবী শওকত ওসমান বলেন, সারাদিন রোজা তার উপর তীব্র দাবদাহে বাসা থেকে বের হওয়া দুরূহ। তাই ইফতারের পর বেরিয়ে তারাবির পর একটু কেনাকাটা করতে মার্কেটে গিয়েছিলাম। হঠাৎ বৃষ্টি সব উলটপালট করে দেয়া। রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে কোন ধরনের যানবাহন মিলছে না। মিললেও পর্দা না থাকায় বৃষ্টিতে ভিজতে হয়েছে যাত্রীদের। এরপরও ঠাণ্ডা পরিবেশ বিরাজ করায় একটু স্বস্তি মিলেছে।
নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী রুনা শিউলী বলেন, রাতে বৃষ্টি হওয়ায় জনদুর্ভোগ কমই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টির প্রস্তুতি নিয়ে মার্কেটে না আসায় সব শ্রেণির ক্রেতারা ভোগান্তি পেয়েছেন। এদের মাঝে নারী-শিশুদের ভোগান্তি একটু বেশি হয়েছে। ফিরতি পথে ক্রেতারা বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে আশ্রয় নিয়েছেন আশেপাশের দোকানপাট, বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বারান্দায়।
এদিকে, ঘণ্টা খানেক বৃষ্টির পানি কক্সবাজার পৌর শহরের প্রধান সড়কসহ উপসড়কের বিভিন্ন স্থানে হাটু পরিমাণ জমে দুর্ভোগের সৃষ্টি করে। পাহাড় ও বাসা বাড়ি থেকে নেমে আসা পানির তোড়ে ড্রেনের ময়লা, আবর্জনা ও পয়ঃনিষ্কাশনের ময়লাগুলো মুহূর্তে সড়কে চলে এসে একটি বিশ্রী পরিবেশ সৃষ্টি করে। অনেক জায়গায় দুর্গন্ধ ছিল।
কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শহিদুল ইসলাম জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো কক্সবাজারেও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। এটি কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
ইত্তেফাক/এমআরএম