শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মুক্তিপণ দিলে মেলে গরু, না দিলে মাংস বিক্রি

আপডেট : ২৯ মে ২০১৯, ১৮:০৬

সুনামগঞ্জের হাওরের প্রত্যন্ত এলাকায় গরু চোরের উপদ্রব বেড়েছে। মামলা হলেও কমছে না এদের উৎপাত। ধরা পড়লে জেল থেকে বের হয়ে চোরেরা আবারও গরু চুরি করছে। এই অবস্থায় অসহায় হয়ে পড়েছেন এলাকার কৃষক। 

ভুক্তভোগীরা জানান, রাতের আঁধারে গোয়াল থেকে বা দিনের বেলায় হাওর থেকে সংঘবদ্ধ চোরেরা গরু চুরি করে নিয়ে যায়। পরে মুক্তিপণ আদায়ের মাধ্যমে কৃষকের গরু ফেরত দেয়। মুক্তিপণ না দিলে ওই গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করে দেয় চোরেরা। 

সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ, জগন্নাথপুর, ছাতক ও সিলেটের বিশ্বনাথ এলাকায় চোরদের একাধিক শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। হেমন্তে গরু চুরি, বর্ষায় নৌকা চুরি, ঘরে চুরি এদের অন্যতম পেশা হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে হিন্দু অধ্যুষিত গ্রাম গুলোতে চোরদের উৎপাত বেশি। 

বৈশাখে চোরেরা মাছের পোনা ধরার ছলে হাওর থেকে কৌশলে গরু গুলো তাদের গোপন আস্তানায় তাড়িয়ে নিয়ে যায়। পরে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না পেলে কয়েকদিন পর জবাই করে মাংস বিক্রি করে দেয়। 

আরও পড়ুন: যাকাতের টাকা আত্মসাৎ

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো.বরকত উল্লাহ ইত্তেফাককে বলেন, গরু চুরি হলে মালিক পুলিশের কাছে না এসে চোরদের সঙ্গে আপোষ করছে। তবে পুলিশ চোরদের ধরতে সব সময় তৎপর। 

ইত্তেফাক/অনি