শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বাল্য বিয়ে পড়ানোর চেষ্টা, কাজিসহ সংশ্লিষ্টদের জেল-জরিমানা

আপডেট : ১৩ জুন ২০১৯, ১৮:৩৩

ভোলায় পৃথক দুইটি বাল্য বিয়ে দেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় বর, অভিভাবক ও কাজিকে জেল-জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভোলা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কাওছার হোসেন এ দণ্ডাদেশ দেন। 

কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, সদর উপজেলার পরানগঞ্জ বাজার এলাকার সৈয়দ আহম্মদের ছেলে কাজি মো. ইকবাল হোসেন, তার সহকারী মো. হাসান, একই উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মো. আব্দুল মতিনের ছেলে মো. সজিব (বর)। 

অর্থদণ্ড করা হয়, বোরহানউদ্দিন উপজেলার মুলাইপত্তন গ্রামের প্রবাসী মো. মফিজুল ইসলাম ফরাজীর স্ত্রী নাসিমা আক্তার, সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের মো. সবুজ, মজিব উদ্দিন, মাইনুদ্দিন ও নাজিম উদ্দিনকে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ভোলা শহরের সামসুদ্দিন মার্কেটে অবস্থিত কাজি অফিসে বাল্য বিয়ে পড়ানোর সময় কাজি মো. ইকবাল হোসেন, তার সহকারী মো. হাসান ও বোরহানউদ্দিনের মো. সজিব (১৯), একই এলাকার নবম শ্রেণির ছাত্রী ও তার মাতে আটক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে কাজি, তার সহকারী ও বরকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড দেন। কনের মাকে অর্থদণ্ড করা হয়।

অপরদিকে, সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের চেউয়াখালী গ্রামে বুধবার রাতে বাল্য বিয়ে পড়ানোর সময় বর, মেয়ের বাবা ও চাচাসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ। এদের মধ্যে বর মো. সবুজ, মেয়ের বাবা মো. মজিব উদ্দিন, চাচা মাইনুদ্দিন ও নাজিম উদ্দিনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অর্থদণ্ড করা হয়। পরে মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দিতে মুচলেকা দেন মেয়ের বাবা। 

আরও পড়ুন: ভণ্ড ফকিরের আস্তানায় যৌন উত্তেজক বড়ি খেয়ে একজনের মৃত্যু

ভোলা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কাওছার হোসেন বলেন, সমন্বিত শিশু বিবাহ প্রতিরোধ প্রকল্পের কর্মীরা ও বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ কমিটির তথ্য পেয়ে এবং পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালানো হয়। 

ইত্তেফাক/অনি