যশোরে ছুরিকাঘাতে ফেরদৌস (২০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে যশোর শহরের সারথী স্কুল এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত ফেরদৌস শহরের নাজিরশংকরপুর এলাকার শারমিন আক্তার পপির বাড়ির ভাড়াটিয়া আজাদের ছেলে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ফেরদৌসকে পূর্ব পরিচিতরা মোবাইল ফোনে ডেকে সারথী স্কুল এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে ছুরিকাঘাতের পর ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া রহিমা বেগম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ফেরদৌসের মা ফতেমা খাতুন ছেলের জন্য রুটি বানিয়ে রেখে কাজে চলে যান। ফেরদৌস ওই রুটি খাওয়ার সময় তার মোবাইল ফোনে কল আসে। ফোন পেয়ে রুটি না খেয়েই বাড়ি থেকে বের হয়ে যান ফেরদৌস। এরপর তার মৃত্যুর খবর পান বাড়ির লোকজন।
ফেরদৌসের পিতা রিকশাচালক আজাদ জানান, তার ছেলে যশোর আইটি পার্কে মালির কাজ করতো। কিছুদিন আগে সেই কাজ ছেড়ে ট্রাকের হেলপারের কাজ করেছে। আগামী মাস থেকে আবার আইটি পার্কে কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে কারা তাকে ডেকে নিয়ে খুন করল তা বুঝতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: সারিয়াকান্দিতে গণপিটুনীতে এক ব্যক্তি নিহত
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি অপূর্ব হাসান হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পুলিশ জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান শুরু করেছে।’
ইত্তেফাক/নূহু