বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

৮ দফা দাবিতে দেশব্যাপী বিড়ি শ্রমিকদের বিক্ষোভ, মানববন্ধন

আপডেট : ১৮ জুন ২০১৯, ১৬:২৯

মজুরি বৃদ্ধি ও বিড়ি'র উপর শুল্ক কমানোসহ ৮ দফা দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ এবং মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন দেশের বিভিন্ন কারখানার বিড়ি শ্রমিকরা। বুধবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত এই মানববন্ধন ও অবরোধ কর্মসূচীতে হাজার হাজার বিড়ি শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তারা কুমিল্লার লাকসামে অর্থমন্ত্রীর ও নরসিংদীতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনেও মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেন।

প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটে বিড়ির উপর বৈষম্যমূলক সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাগেরহাটের মোল্লারহাট, যশোরের নাভারন-সাতক্ষীরা মোড়, বরিশাল, ময়মনসিংহ-বাইপাস, শেরপুর বাস স্ট্যান্ড, টাংগাইল-ঢাকা বাইপাস রোড, কিশোরগঞ্জ বড়পুল, ব্রাক্ষণবাড়িয়ার ভৈরব দুর্জয় মোড়, মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ এসএস রোড, বগুড়া ফুটকি বাজার, রংপুর হাইওয়ে, পাবনাসহ দেশের শতাধিক স্থানে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

শ্রমিকদের দাবিগুলো হলো, ১. বিড়ির দাম ১৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১০ টাকা করতে হবে। ২. 'সম্পূরক শুল্ক' কমিয়ে ভারতের ন্যায় প্রতি হাজারে ১৪ টাকা করতে হবে। ৩. কম দামি ও বেশি দামি সিগারেটে সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করতে হবে। ৪. বিড়ির ওপর আরোপিত অগ্রিম আয়কর বাতিল করতে হবে। ৫. বঙ্গবন্ধুর চালুকৃত বিড়িকে অবিলম্বে 'কুটির শিল্প' ঘোষণা করতে হবে। ৬. নিম্নস্তর ও মধ্যমস্তরের সিগারেট একীভূত করে সমমূল্য করতে হবে। ৭. উচ্চস্তরের সিগারেটের মূল্য ও সম্পূরক শুল্ক অধিক হারে বৃদ্ধি করতে হবে। ৮. শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরী হাজার প্রতি ১০০ টাকা করতে হবে।

আরও পড়ুন:  পর্তুগালে ‘ওয়ান ফ্যামিলি লিসবন’র ঈদ পুনর্মিলনী বনভোজন অনুষ্ঠিত

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, 'প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটে বিড়ির ওপর অযৌক্তিকভাবে কম দামি সিগারেটের চেয়ে ৪ গুন বেশি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। বিড়িতে ২৪ দশমিক ২০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে, অন্যদিকে কম দামি সিগারেটে মাত্র ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিড়ির সম্পূরক শুল্ক ৩০% থেকে ৩৫% করা হয়েছে অর্থাৎ ৫% বৃদ্ধি করা হয়েছে, অন্যদিকে বহুজাতিক কোম্পানির কমদামী সিগারেট ও  বেশি দামি সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়নি। ফলে দেশিয় কুটির শিল্প বিড়ি কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে দেশের অসহায়, দরিদ্র, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, পঙ্গুসহ লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কর্মহারা হবে।'

বক্তারা আরও বলেন, 'সাবেক অর্থমন্ত্রী বিড়ি শিল্প বন্ধের জন্য সময় নির্ধারণ করেছেন ২০৩০ সাল আর সিগারেট শিল্প বন্ধের সময় দিয়েছেন ২০৪০ সাল পর্যন্ত। যা বিড়ির উপর চরম বৈষম্যমূলক আচরণ ও অত্যন্ত দুঃখজনক।'

ইত্তেফাক/জেডএইচডি