যাদের প্রাণ বিসর্জনের বিনিময়ে লাল-সবুজের স্বাধীন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম। তাদেরই একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মনিরউদ্দিন শেখ চুড়িওয়ালা (৮০)। অকুতোভয় জীবন বলিদানকারী মনিরউদ্দিন চুড়িওয়ালার নাম নিজ এলাকার অজস্র মানুষের হৃদয়ে ও শহীদ স্মৃতি ফলকে থাকলেও নেই সরকারের মুক্তিযোদ্ধা তালিকায়।
স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মনির উদ্দিন চুড়িওয়ালার নাম ওঠেনি মুক্তিযোদ্ধা তালিকায়।
১৯৭১ সালের ১ এপ্রিল উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের কামারপাড়া মাঠের মধ্যে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর সশস্ত্র সম্মুখযুদ্ধ সংঘটিত হয়। ওই যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর ৩ জন শহীদ হন ও ৭ পাকিস্থানী সেনা নিহত হয়।
শহীদ ৩ মুক্তিযোদ্ধা হলেন, শহীদ সিপাহী মহিউদ্দিন, শহীদ ডাঃ আব্দুর রশীদ (হিলম্যান) ও শহীদ মনিরউদ্দিন চুড়িওয়ালা।
এরমধ্যে প্রথম দুইজন শহীদ সিপাহী মহিউদ্দিন ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আব্দুর রশীদ (হিলম্যান) নাম সরকারের মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলেও বাদ পড়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মনিরউদ্দিন চুড়িওয়ালার নাম।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মনিরউদ্দিন শেখ চুড়িওয়ালা কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের ভারল গ্রামের সরকারী বরিশাল খাল পাড়ে তার বসত ভিটা। পিতার নাম মৃত মোজাহার শেখ। শহীদ হওয়ার আগে হতদরিদ্র মনিরদ্দিন চুড়িওয়ালা স্ত্রী হাসিনা বেগম ও আব্দুল মজিদ (৬০) ও মতলেব শেখ নামের দুই পুত্র সন্তান রেখে যান। স্ত্রী হাসিনা বেগম যুদ্ধ শেষের দুই বছরের মাথায় মারা যান।
আরও পড়ুন: বাংলায় এসএমএস পাঠালে খরচ অর্ধেক
৩০ বছর আগে মুক্তিযোদ্ধা মনিরদ্দিন চুড়িওয়ালার ছোট ছেলে মতলেব শেখ পোড়াদহ রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাতে বাড়ি ফেরার পথে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের হাতে গুরুতর আহত হন। পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মতলেব শেখ মারা যান।
ইত্তেফাক/নূহু