শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে বেত ভাঙলেন শিক্ষক

আপডেট : ২৩ জুন ২০১৯, ১৬:১২

সহপাঠীকে গালাগাল করার অভিযোগে মাদ্রাসার এক শিশু শিক্ষার্থীকে জোড়া বেত দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রবিবার ওই মাদরাসার শিক্ষককে আসামি করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষক আল আমীন পালিয়ে গেছেন।

শনিবার ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার শাহগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় শিক্ষার্থী নেজামুলকে  ঈশ্বরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

নেজামুল অভিযোগ করে জানায়, সে মাইজহাটি শাহগঞ্জ দারুস উলুম কওমি মাদ্রাসায় নাজেরা বিভাগে পড়ালেখা করে। শনিবার সকালে প্রতিদিনের মতো সে কোরআন পড়ছিল। এ সময় হুজুর (শিক্ষক) আল আমীন জানতে চায় রবিউলকে গালাগাল করেছে কে? এ সময় সে গালাগাল করেনি বলে উত্তর দিলে হুজুর কিছু না বলেই দুইটি বেত একত্রে করে তাকে বেদম পিটাতে শুরু করে। একপর্যায়ে সে হুজুরের পা ধরে আকুতি মিনতি করেও মার থেকে রেহায় পায়নি। পরে বেত ভেঙ্গে গেলে মার থামে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নেয়। 

আরো পড়ুন: ভারতে নারী সাংবাদিককে ধাওয়া করে গুলি

আহত নেজামুলের বাবা মজিবুর রহমান জানান, তার ছেলেকে এতই মেরেছে যে এখন সে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। পুরো পিটঠ ও শরীরে বিভিন্ন জায়গায় লালচে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। 

এ বিষয়ে মাদরাসার প্রধান তৌফিকুল ইসলাম বলেন, একজন শিক্ষক এভাবে মারতে পারে না। ঘটনার পর থেকে ওই শিক্ষক পালিয়ে গেছে। তাকে খোঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনা হবে। 

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আহমেদ কবির বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ওই শিক্ষককে খোঁজা হচ্ছে। 

ইত্তেফাক/জেডএইচ