শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কাছাকাছি এসেও ঘরে ফেরা হলো না শিক্ষক আজমের

আপডেট : ২৫ জুন ২০১৯, ০০:৩৭

কেনাকাটা শেষে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে অটোরিকশা করে বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন মাদ্রাসা শিক্ষক আবু আজম। আর মাত্র দুইশ গজ সামনে যেতে পারলে বাড়িতে ঢুকে যেতেন। কিন্তু নিয়তি তাকে আর জীবিত বাড়ি ফিরতে দেয়নি। যাত্রীবাহি মাহিন্দ্রা গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি।

এ দুর্ঘটনার সময় তার মেয়ে এবং রিকশা চালকও আহত হয়েছেন। তাদের চকরিয়ার মালুমঘাট খ্রিস্টান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের খুটাখালি নয়াপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত আবু আজম (৫২) চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের নয়াপাড়ার মরহুম মোস্তাক আহমদের ছেলে ও কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদ খোদাইবাড়ি এ জি লুৎফুল কবির আর্দশ বালিকা দাখিল মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন।

খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার গিয়াস উদ্দীন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘সোমবার রাত পৌনে ৯ টার দিকে মাওলানা আবু আজম খুটাখালী বাজার থেকে মেয়েসহ অটোরিকশাযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তাদের রিক্সাটি নয়াপাড়ার কাছাকাছি মহাসড়কের ব্রিজ এলাকায় পৌঁছুলে ঈদগাঁহের দিক থেকে আসা দ্রুতগামী মাহিন্দ্র সজোরে ধাক্কা দিলে রিকশাটি মহাসড়ক থেকে ছিটকে খাদে গিয়ে পড়ে। 

স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মালুমঘাট খ্রিস্টান হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মাওলানা আজমকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত তার মেয়ে ও রিকশা চালককে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

খবর পেয়ে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মাহিন্দ্রা গাড়িটি জব্দ করলেও চালক পালিয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: সাকিবের পর মুশফিকের দাপট

মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মাহিন্দ্রা গাড়িটি জব্দ করে ফাঁড়িতে নিয়ে এসেছে। নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

ইত্তেফাক/নূহু