ফরিদপুরের মধুখালী থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম নিলুফা বেগম (২২)। তিনি টাঙ্গাইল জেলার সরিষাবাড়ি থানার পঞ্চাশী গ্রামে মৃত আ. রহিমের ছেলে মো. ইমন মোল্যার স্ত্রী এবং মধুখালীর কামারখালী ইউনিয়নের চরপুকুরিয়া গ্রামের মো. মিরু মোল্যার মেয়ে।
নিলুফার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় তার বাবার বাড়ির রান্না ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায়। তার গলায় ওড়না পেঁচানো ছিলো। নিলুফার মা দাবি করেছেন তার মেয়েকে কেউ রাতে হত্যা করে রান্নাঘরে ঝুলিয়ে রেখেছে।
শনিবার দুপুরে মধুখালী থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠিয়েছে।
জানা যায়, ৪-৫ বছর আগে টাঙ্গাইল জেলার সরিষাবাড়ি থানার পঞ্চাশী গ্রামে মৃত আ. রহিমের ছেলে মো. ইমন মোল্যার সঙ্গে নিলুফার বিয়ে হয়। ইমন মোল্যা একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। ইরা খাতুন নামে তাদের ২ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
নিলুফা প্রায় ৪ মাস আগে বাবার বাড়িতে এসেছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে মা-বাবার সঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ রাত আনুমানিক ১টার সময় তার মা তহমিনা বেগম ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখেন তার মেয়ে নিলুফা বিছানায় নেই। পরে তাকে রান্না ঘরে আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।
এ সময় নিলুফার মার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। গলার ফাঁস খুলে নিলুফাকে আলোকদিয়া বাজারে ডাক্তারের নিকট নিলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যপারে মধুখালী থানায় সংবাদ দিলে মধুখালী থানার এস.আই. মো. মাহাবুল করিম ও এস. আই. মাহমুদ খবর পেয়ে লাশ ময়না তদন্তে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে প্রেরণ করেন। লাশের সুরত হালে দেখা যায় গলায় দাগ ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন আছে।
নিলুফার মা তহমিনা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়েকে ফোন করে ঘর থেকে বের করে মেরে রান্না ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে কেউ।’
নিলুফার স্বামী ইমন মোল্যা বলছেন তিনি বিষয়টি বুঝতে পারছেন না। তাদের আজ ঢাকায় একটি বাসা নেওয়ার কথা ছিল।
কামারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান বিশ্বাস বাবু ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি লাশের ময়না তদন্ত করার পরে জানা যাবে সেটি হত্যা না আত্মহত্যা।’
আরও পড়ুন: বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্যের টাকা সুইস ব্যাংকে: প্রধানমন্ত্রী
মধুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে লাশ ময়না তদন্তের পর।’
এ ব্যপারে মধুখালী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। নং-২০ তাং-২৯-০৬-২০১৯ইং।
ইত্তেফাক/নূহু