গত বছরের মার্চে বাড়ির সামনে খেলতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল আরবি খাতুন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে মিরপুর হাসপাতাল ও পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে নেওয়া হয় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসায় প্রাণে বেঁচে গেলেও ডান পা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর শক্তি হরায় আরবি।
কিন্তু থেমে থাকেনি। আরবি উপজেলার ৫নং গোবিন্দগুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী। বাবা কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের গোবিন্দগুনিয়া জিকে ক্যানেল পাড়ার দিনমজুর মো. রাজু, মা হাঁসি খাতুন।
প্রতিদিন মায়ের কোলে চেপে দুই কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে স্কুলে যায় আরবি খাতুন (৬)। হাসতে হাসতে হয়তো এই কষ্ট সহ্য করে যাচ্ছেন মা।
আরও পড়ুন: পাচারকালে ৬ লাখ টাকার সেগুন কাঠ জব্দ
কথা হয় হাঁসি খাতুনের সঙ্গে। অনেকটা আক্ষেপ করে জানান, অনেক প্রতিবন্ধী সরকারের ভাতা পায়। কিন্তু এক বছর আগে পা হারানো মেয়ের নাম এখনও খাতায় ওঠেনি। কোলে করে এতেটা পথ স্কুলে নিয়ে যাওয়া-আসা করি। একটি হুইল চেয়ার থাকলে কষ্ট খানিকটা কমত। পাশাপাশি কৃত্রিম একটি পা পেলে মেয়েটা খাঁড়া পায়ে দাঁড়াতে পারত।
ইত্তেফাক/অনি