নাগেশ্বরীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। পানিবন্দী রয়েছে ৭০ হাজার মানুষ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দেড় শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নাগেশ্বরী-কুড়িগ্রাম সড়কের ওপর দিয়ে তীব্র স্রোতে পানি প্রবাহিত হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে বাস চলাচল। পানিতে ডুবে মারা গেছে ১জন।
বন্যার পানির তীব্র স্রোতে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তেলিয়ানীতে বেড়িবাঁধের ২ টি জায়গা ভেঙে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করায় মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্লাবিত হয়েছে আরও নতুন এলাকা। এতে উপজেলার ১১ ইউনিয়ন ও পৌরসভার বেশিরভাগ এলাকায় প্রায় ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্ধ করে দেওয়া ওই এলাকার প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রবল বেগে পানি প্রবাহিত হচ্ছে নাগেশ্বরী-কুড়িগ্রাম সড়কের ওপর দিয়ে। বন্ধ হয়ে গেছে এ সড়কে বাস চলাচল।
আরও পড়ুন: জাকিরকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন
অপরদিকে সোমবার বিকেলে কালীগঞ্জ ইউনিয়নের মাধাইখাল এলাকায় হেটে সড়ক পাড় হওয়ার সময় বন্যার পানির তীব্র স্রোতে ভেসে যান ওই ইউনিয়নের গোর্ধারের পাড় গ্রামের উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আ.ন.ম মুসার ছেলে আক্তারুজ্জামান মামুন (৪০)। মঙ্গলবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল সেখান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
ইত্তেফাক/নূহু