টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। ফলে তিন গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া, খানুরবাড়ি ও ভালকুটিয়া গ্রামে যমুনার পানি প্রবেশ করে।
মঙ্গলবার পানি বৃদ্ধির রেকর্ড করা হয়েছে। এতে যমুনার পানি বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার ও ধলেশ্বরী নদীর পানি ৬৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে রাস্তায় পানি উঠে গিয়ে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। বাড়ি ও ঘরে পানি প্রবেশ করেছে, টিউবওয়েল তলিয়ে গেছে। এতে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এর আগে যমুনা নদীর ব্যাপক ভাঙনে ওই তিন গ্রামে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
জানা গেছে, উপজেলার কষ্টাপাড়া ও খানুরবাড়ি এলাকায় যমুনা নদীর পানি সোমবার রাত থেকে গ্রামগুলোতে প্রবেশ করে। এতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে তিনগ্রামে প্রবেশ করে মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
বন্যাকবলিত মানুষেরা জানায়, হঠাৎ করেই গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। এতে ঘরের জিনিষপত্র পানিতে ভিজে গিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। বাড়িঘরের টিউবওয়েল পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: উলিপুরে নৌকা ডুবে শিশুসহ ৫ জন নিহত
টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সোমবারের চেয়ে মঙ্গলবার সব নদীতে আরও বেশি পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় নদীগুলোতে আরও পানি বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা রয়েছে। আর পানি কমলে এসব এলাকায় ভাঙন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নদী ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভাঙনরোধে আমরা কাজ করছি।
ইত্তেফাক/নূহু