গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও ব্রহ্মপুত্র নদের ঢলে মৃগী নদীর তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে নকলা উপজেলার চকবড়ইগাছি, বাছুর আলগা, চরমধুয়া ও চরমধুয়া নামাপাড়া গ্রামের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে ফসলে মাঠ, তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট।
মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিনে, চকবড়ইগাছী ও বাছুর আলগা এলাকায় প্রায় দুই কিলোমিটার মৃগী নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে। চরমধুয়া নামাপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৫০টি বাড়ি নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। বর্তমানে ভাঙন অব্যাহত আছে। আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান সাজু সাঈদ সিদ্দিকী জানান, এক বছর আগেও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
আরও পড়ুন: রিফাত হত্যা: জিজ্ঞাসাবাদের পর স্ত্রী মিন্নি গ্রেফতার
পরিদর্শনকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুইজন কর্মকর্তাকে একটি রেজিস্টার খাতা হাতে নিয়ে এলাকায় ঘুরতে দেখা গেছে। তবে দেখা যায়নি ভাঙন রোধে কার্যকর কোনো উদ্যোগ।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, ইতিপূর্বে মৃগী নদীর ভাঙন কম ছিল। গত দুই বছর যাবত নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু তোলার ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্ত কিছু কিছু এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভাঙনের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা কোনো সরকারি সাহায্য পাননি।
ইত্তেফাক/অনি