শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

প্রিয়া সাহার বক্তব্য ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য: গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী

আপডেট : ২০ জুলাই ২০১৯, ২০:০৯

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথিত অভিযোগকে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা বলে মন্তব্য করেছেন  পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম। 

শনিবার দুপরে নাজিরপুরে নিজ বাসভবনে অবস্থানকালে ইত্তেফাককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী বলেন, শুধু পিরোজপুর-নাজিরপুর নয়, সারা বাংলাদেশের মানুষ ধর্মীয় সম্প্রীতির মধ্যে বসবাস করছেন। সম্প্রতি প্রিয়া সাহা নামের এক এনজিও কর্মী ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য পুরো বাংলাদেশ নিয়ে বিদেশীদের কাছে এই মিথ্যাচার করেছে। এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন পিরোজপুরের হিন্দু সম্প্রদায় ও নেতৃবৃন্দ। 

মন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম আরও বলেন, তার বক্তব্য সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা ও উস্কানি দেওয়ার অপপ্রয়াস মাত্র। নাজিরপুরের হিন্দু সম্প্রদায় তার বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন। 

নাজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান অমূল্য রঞ্জন হালদার বলেন, এ উপজেলার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক হিন্দু। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সারাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর বর্বর নির্যাতন চললেও নাজিরপুরে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। প্রিয়া সাহার কথিত অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। 

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের পিরোজপুর জেলা সভাপতি তুষার কান্তি মজুমদার বলেছেন, পিরোজপুরের নাজিরপুর ও পাশের বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে মৃত বলেশ্বর নদী। নদীর চরের জমি নিয়ে চরবনিয়ারী গ্রামসহ এই দুই উপজেলার বাসিন্দাদের মধ্যে ব্রিটিশ আমল থেকে বিরোধ বিরাজমান। এর সঙ্গে দুই উপজেলার মুসলমান ও হিন্দু উভয় সম্প্রদায়ের লোকজন জড়িত। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এখানে কখনো ধর্মীয়ভাবে কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। প্রিয়া সাহার বাবার বাড়িতে গত ৩ মার্চ যে ঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল তার সঙ্গে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কোনো সম্পর্ক নেই। 

আরও পড়ুন: এবার ভিক্ষুককে গণপিটুনি

এ ঘটনায় ‘শারি’ এনজিওর নির্বাহী পরিচালক প্রিয়া সাহার নাগরিক সংগঠন সুনাম-সুরক্ষা নাগরিক অধিকার কমিটির পিরোজপুর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সংগঠনটির জেলা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা গৌতম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক খালেদা আক্তার হেনা, সদস্য খালিদ আবু, সিকদার চাঁন, সাদুল্লাহ লিটন, দীপঙ্কর মাতা মিন্টু প্রমুখ প্রিয়া সাহার এ বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে সুনাম থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 
   
পিরোজপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিমল মণ্ডল জানান, তার এ বক্তব্য উদ্ভট ও মিথ্যাচার। তিনি কেন এবং কি উদ্দেশ্যে এভাবে মিথ্যাচার করেছেন তাও আমাদের বোধগম্য নয়।  

ইত্তেফাক/অনি