শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

শিবচরে নদী ভাঙনসহ কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি

আপডেট : ২১ জুলাই ২০১৯, ০৩:১০

মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর পানি গত দুইদিন ধরে অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধির কারণে উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার বন্দিদশায় রয়েছেন। ঘর বাড়ি দ্রুত অন্য স্থানে সরিয়ে নিলেও ইতোমধ্যেই তীব্র স্রোতে নদি ভাঙনে কয়েক’শ পরিবারের ভিটেমাটি ফসলি জমিসহ ১টি মাদ্রাসা, কালভার্ট বিলিন হয়ে গেছে। নিস্ব হয়ে পড়েছে বানভাসী মানুষ। একদিকে খড় স্রোতে ভাঙনের হুমকিতে প্রতি মুহূর্তে শিশুসহ নারীরা আতংকে থাকে। অন্যদিকে পানিবন্দি জীবন। বিশুদ্ধ খাবার পানিসহ শুকনা খাবারের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। 

সরেজমিনে শনিবার দেখা যায়, গত এক সপ্তাহে পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদীর শিবচর অংশে পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধির কারণে উপজেলা বন্দরখোলা, চরজানাজাত, কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নে নদী ভাঙন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে । ফলে ভাঙন কবলিত পরিবারগুলো গবাদি পশু, বসত ঘর নিয়ে কোনমতে নিরাপদ স্থানে গেলেও গাছপালাসহ ফসলি জমি ভিটেমাটি ভাঙনের কবলে হারিয়ে নি:স্ব হয়েছে। শুধু তাই নয় নদী ভাঙন এলাকায় শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। 

ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে বন্দরখোলার ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন, সুরার হাটের প্রায় ১০০টি দোকান, চরজানাজাত ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রসহ ৩ ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ কয়েক হাজার বসতবাড়ি ও প্রায় ৩শত একর ফসলি জমি। 

ইতিমধ্যেই বন্দরখোলা ইউনিয়নের কাজীরসুরা তাহফীজুল কুরআন গোরস্থান মাদরাসার অন্য জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরীর নিদের্শে ভাঙন কবলিত এলাকায় বেশ কয়েকবার পরিদর্শন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সামসুদ্দিন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, ওসি জাকির হোসেন মোল্লা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইমদাদুল হক প্রমুখ।

ইত্তেফাক/এমআই