শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

খুলনায় বাবা-মেয়ে হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আত্মসমর্পণ

আপডেট : ২১ জুলাই ২০১৯, ১৪:০৩

খুলনায় এক্সিম ব্যাংক কর্মকর্তা পারভীন সুলতানাকে গণধর্ষণের পর তার বৃদ্ধ বাবা ইলিয়াছ চৌধুরীসহ শ্বাসরোধে হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শরিফুল ইসলাম আত্মসমর্পণ করেছেন।

রবিবার ১১টার দিকে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ তিনি আত্মসমর্পণ করেন। মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ বাবা-মেয়ের জোড়া হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির  আত্মসমর্পণের  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন: সাভারে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নারীর মৃত্যু

তিনি জানান, নগরীর লবণচরা থানার বুড়ো মৌলভীর দরগাহ রোডের বাসিন্দা শেখ আব্দুল জলিলের ছেলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শরিফুল ইসলাম আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। গত ১৬ জুলাই হত্যার মামলায় ৫ জন আসামির ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। আসামিদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম পলাতক ছিলেন।

উল্লেখ্য, এক্সিম ব্যাংক কর্মকর্তাপারভীন সুলতানাকে গণধর্ষণের পর  এবং  তার পিতা ইলিয়াস চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। হত্যা করার পর ঘাতকরা বাবা ও মেয়ের লাশ সেফটি ট্যাংকের মধ্যে  ফেলে দেয়। পরে তারা বাসায় লুটতরাজ চালিয়ে পালিয়ে যায়। ২০১৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর নগরীর লবণচরা থানার বুড়ো মৌলভীর দরগাহ এলাকার ৩ নম্বর গলির ঢাকাইয়া হাউজ এপি ভিলা নামের বাড়িতে এ নৃশংস জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। পারভীন সুলতানাকে গণধর্ষণের পর এবং তার বাবা ইলিয়াছ চৌধুরীসহ হত্যা এবং লুটপাটের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়। এর মধ্যে হত্যা মামলার ৫ আসামি লবণচরা থানার বুড়ো মৌলভীর দরগাহ রোডের বাসিন্দা শেখ আব্দুল জলিলের ছেলে সাইফুল ইসলাম পিটিল (৩০), তার ভাই শরিফুল (২৭),আবুল কালামের ছেলে  লিটন (২৮), অহিদুল ইসলামের ছেলে আবু সাইদ (২৫) ও মৃত সেকেন্দারের ছেলে আজিজুর রহমান পলাশের (২৬) মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়। আসামিদের মধ্যে শরিফুল এতদিন পলাতক ছিলেন।

ইত্তেফাক/এমআরএম