শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

শোলাকিয়া জঙ্গি হামলা : ফের পেছাল সাক্ষ্যগ্রহণ

আপডেট : ২২ জুলাই ২০১৯, ১৮:৩২

শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলা মামলায় অভিযুক্ত পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজন আদালতে অনুপস্থিত থাকায় আজ সোমবারও (২২ জুলাই) সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি। স্পেশাল ট্রাইবুনাল আদালত নং-২ এর বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামিদের অনুপস্থিতির কারণে আগামী ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন। এ নিয়ে সপ্তম বারের মতো মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পেছাল। 

এদিন জাহিদুল হক তামিম ও আনোয়ার হোসেন আদালতে উপস্থিত থাকলেও চার্জশিটভুক্ত তিন আসামি জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী ওরফে সুভাষ ওরফে জাহিদ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান এবং মো. আব্দুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ ওরফে মুসাফির ওরফে জয় ওরফে নূরুল্লাহকে হাজির করা হয়নি। 

কিশোরগঞ্জ জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক জানান, প্রতিটি ধার্য তারিখে জেলখানায় আসামিদের হাজির করার জন্য হাজিরা পরোয়ানা (পিউব্লিউ) প্রেরণ করা হয়। একমাত্র জাহিদুল হক তামিম ব্যতীত অন্য আসামিরা হলি আর্টিজানসহ বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলা মামলায় বিভিন্ন কারাগারে আটক রয়েছেন। নিরাপত্তাজনিত কারণ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে আদালতে হাজির করতে হয় বিধায় ধার্য তারিখে কিশোরগঞ্জ কোর্টে সব আসামিদের একসঙ্গে হাজির করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সাক্ষ্যগ্রহণ বিলম্বিত হচ্ছে বলে পিপি জানান। ইতিপূর্বে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আরো ছয়টি তারিখ ধার্য ছিল।

আরও পড়ুন : বাড্ডায় নারীকে পিটিয়ে হত্যা: তিনজন ৪ দিনের রিমান্ডে

২০১৬ সালের ৭ জুলাই ঈদুল ফিতরের দিনে ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহে নামাজ শুরুর ঘন্টাখানেক আগে ঈদগাহ থেকে এক কিলোমিটার দূরে পুলিশ চেকপোস্টে জঙ্গিরা হামলা চালায়। সেদিনের হামলায় কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম ও কনস্টেবল মশিউর রহমান এবং গৃহবধূ ঝরনা রাণী ভৌমিক নিহত হন। পুলিশের পাল্টা গুলিতে জঙ্গি আবির হোসেন ঘটনাস্থলেই মারা যান।  

জঙ্গি শরীফুল ইসলাম ওরফে শফিউল ইসলাম ওরফে সাইফুল ইসলাম ও জাহিদুল হক তামিম র‌্যাব-পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। পরে র‌্যাবের প্রহরায় চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শরীফুল ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট ময়মনসিংহের নান্দাইলে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। মামলার দ্বিতীয় তদন্তকারী কর্মকর্তা কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. আরিফুর রহমান তদন্তশেষে পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর  আসামিদের উপস্থিতিতে স্পেশাল ট্রাইবুনাল আদালতে চার্জশিট গৃহীত হওয়ার  পর বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।

ইত্তেফাক/কেআই