ঢাকা থেকে সুরভী-৮ লঞ্চে যাত্রী হয়ে আসা গার্মেন্টস কর্মী আখি হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮ সদস্যরা। সোমবার র্যাব-৮ এর সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপ-অধিনায়ক মেজর সজিবুল ইসলাম।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে সুমন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ঘটনার বর্ননা দিয়েছে। ঘটনার বিষয়ে মেজর সজিবুল ইসলাম বলেন, ঢাকা সদরঘাট গেটের ফল ব্যবসায়ী সুমনের সাথে মোসা. শারমিন আখির মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ১৯ জুলাই আগে থেকেই কথা বলে সদর ঘাট থেকে সুরভী-৮ লঞ্চে উঠে সুমন ও আখি। লঞ্চের স্টাফ কেবিনে যাত্রাকালে আখিকে কু-প্রস্তাব দেয় সুমন। আখি তাতে রাজি না হওয়ায় ধস্তাধস্তি শেষে গলাটিপে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে সে।
সুমন বিবাহিত, তার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। নিহত আখিও বিবাহিত এবং একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু মোবাইলে সম্পর্ককালে তারা একে অপরের বিবাহের কথা গোপন রাখে বলে জানায় র্যাব। গার্মেন্টস কর্মী হত্যায় কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের হলে র্যাব অভিযান চালিয়ে সুমনকে তার পিতা মানিক সিপাহীর বাড়ি পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়ার নকবুল্লা থেকে গ্রেফতার করে।
প্রসঙ্গত, গত ২০ জুলাই বরিশাল নদীবন্দর থেকে এমভি সুরভী-৮ লঞ্চের স্টাফ কেবিনে আখি আক্তার (২৯) নামের এক গার্মেন্টস কর্মীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত নারী সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী ইপিজেডের অনন্ত অ্যাপেয়ারেল্স লিমিটেডের একজন অপারেটর। সে বরিশালের বাকেরগঞ্জের পাদ্রিশিবপুরের বড়পুইয়াউটা এলাকার বজলু বেপারীর মেয়ে।
আখিকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার আলামত পেয়েই মামলা দায়ের হয় বলে জানানান কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম।
ইত্তেফাক/কেআই