শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

যোগাযোগ ও রেশমশিল্পে সহযোগিতার আশ্বাস ভারতীয় হাইকমিশনারের

আপডেট : ২২ জুলাই ২০১৯, ২০:৫০

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে নগর ভবনে মেয়রের দপ্তর কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে যৌথ উদ্যোগে পদ্মা নদী ড্রেজিং করে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে এনে নৌরুট চালু, ট্রেন ও বিমান যোগাযোগ চালু, পারস্পারিক শিক্ষা বিনিময় এবং রেশমশিল্প উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস। প্রেস ব্রিফিংয়ে মেয়র লিটন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। 

এর আগে ভারতীয় হাই কমিশনারকে বর্ণিল আয়োজনে স্বাগত জানানো হয়। শুরুতে রাসিক মেয়র তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এরপর নৃত্যশিল্পীরা গানের তালে তালে অতিথিদের নিয়ে নগরভবনে প্রবেশ করেন। বৈঠক শেষে নগর ভবনের ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ পরিদর্শন করেন ভারতীয় হাই কমিশনার। পরিদর্শন শেষে পরিদর্শন বইয়ে নিজের মন্তব্য লেখেন তিনি।

এর আগে মেয়র লিটন ভারতীয় হাই কমিশনারকে সৌজন্য উপহার প্রদান করেন। ভারতীয় হাই কমিশনারও মেয়রকে উপহার দেন। বৈঠকে রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জিব কুমার ভাটি, সেকেন্ড সেক্রেটারি (ভিসা এন্ড কনসুলার) শ্রী বিশাল জ্যোতি দাস, জেএসএ প্রশাসন মনিশ কুমার ত্রিপাঠি, রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ সরিফুল ইসলাম বাবু, প্যানেল মেয়র-৩ তাহেরা বেগম মিলি, সচিব রেজাউল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন: হঠাৎ বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে চমকে দিলেন ট্রাম্প

এদিকে সোমবার দুপুরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর (ভিআরএম) পরিদর্শন করেন।


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর (ভিআরএম) পরিদর্শন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ। ছবি: ইত্তেফাক

হাইকমিশনার জাদুঘরে পৌঁছালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান তাঁকে স্বাগত জানান। এসময় উপ-উপাচার্য প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা, উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়া, রেজিস্ট্রার প্রফেসর এম এ বারী, বরেন্দ্র জাদুঘরের পরিচালক প্রফেসর এ আর এম আব্দুল মজিদ, রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জীব ভাটি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। হাই কমিশনার জাদুঘরে সংরক্ষিত নিদর্শন ঘুরে দেখেন। তিনি পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লেখেন। হাইকমিশনার বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরকে আরো সমৃদ্ধ করা এবং দুই দেশের মধ্যে শিল্প-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে আদান-প্রদান বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান।

ইত্তেফাক/বিএএফ