হরিজন সম্প্রদায়ের ৩০ বছর বয়সী এক যুবকের বিরুদ্ধে ৬৫ বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। মুখে গামছা দিয়ে বেধে ওই বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করে সাধন দাস নামের ওই যুবক। নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের চিলাহাটি ঈদগাপাড়া গ্রামে সোমবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসীর সহযোগীতায় পুলিশ ধর্ষক যুবককে আটক করেছে। ধর্ষক সাধন দাস চিলাহাটি মার্চেন্টস উচ্চ বিদ্যালয়ের ঝাড়ুদার শংকর দাসের ছেলে। বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) জয়ব্রত পাল ও ডোমার থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।
এলাকাবাসী জানায়, ওই বৃদ্ধার চার মেয়ে সন্তান রয়েছে। চার মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন এবং নাতী নাতনী রয়েছে। বৃদ্ধার অভিযোগ পৃথক ধর্মের হলেও হরিজন সম্প্রদায়ের সাধন দাস তাকে বড় আম্মা বলে ডাকতো। প্রতিদিনের মতো রবিবার রাতে স্বামী স্কুলে পাহাড়া দিতে চলে গেলে তিনি ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন। ফজরের আজানের বেশ কিছু আগে বসতঘরের মাটির মেঝের সিদ কেটে চুপিসারে ঘরে ঢুকে সাধন দাস তার মুখে গামছা দিয়ে বেঁধে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন : হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ থেকে প্রিয়া সাহাকে বহিষ্কার
এ ঘটনায় বৃদ্ধা অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে থাকেন। সকাল ৬টায় স্বামী বাড়ী এসে ঘরের মাটির মেঝেতে সিদ কাটা দেখে চিৎকার করলে লোকজন ছুটে আসে। এরপর বৃদ্ধা ঘটনাটি প্রকাশ করলে এলাকাবাসী চিলাহাটি তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের সহযোগীতায় অভিযান চালিয়ে সাধন দাসকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে।
চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নুরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে।
ইত্তেফাক/কেআই