শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

স্কুলছাত্রীকে বখাটের ছুরিকাঘাত

আপডেট : ২৫ জুলাই ২০১৯, ১৮:১৭

গৌরীপুরে এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) ছুরিকাঘাত করেছে স্থানীয় মাদকাসক্ত জহিরুল ইসলাম (৩৫)। আহত অবস্থায় তাকে সকালে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার অচিন্তপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

আহত শিক্ষার্থী অচিন্তপুর ডক্টর এম.আর করিম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। জহিরুল অচিন্তপুর ইউনিয়নের চড়াকোনা গ্রামের মৃত সামছুল ইসলামের ছেলে। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক।

প্রতিবাদে স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী অচিন্তপুর বাজারে গৌরীপুর-শাহগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। পরে গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল ইসলাম মিয়া দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

আহত ওই স্কুলছাত্রী জানায়, যাওয়া-আসার পথে জহিরুল বিভিন্ন সময় তাকে ও তার সহপাঠীদের উত্যক্ত করত, নানা কু-প্রস্তাব দিত। প্রতিবাদ করায় জহিরুল ও তার লোকজন হুমকি দিয়ে আসছিল। ঘটনার দিন সকালে পড়তে যাওয়ার সময় জহিরুল তাকে অনুসরণ করে। এক পর্যায়ে পেটের ডান দিকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় জহিরুলের সঙ্গে অজ্ঞাত এক যুবক ছিল। 

আরও পড়ুন: স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা, গ্রাম পুলিশ আটক

গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার মৌপ্রিয়া মজুমদার জানান, ওই স্কুলছাত্রী এখন শঙ্কামুক্ত। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

গৌরীপুর থানার এসআই নজরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং বখাটে যুবককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। 

ড. এম. আর করিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম জানান, মাদকাসক্ত জহিরুল আগেও স্কুলের ছাত্রীদের রাস্তায় উত্যক্ত করত। তার পরিবারের লোকজনের কাছে বিচার দিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এমনকি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা জহিরুলের বিচার করতে ব্যর্থ হন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে জহিরুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন অভিভাবকরা। 

অভিযোগের প্রেক্ষিতে গৌরীপুর থানার পুলিশ জহিরুলকে আটকের জন্য তার বাড়িতে বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়েও ব্যর্থ হয়। পুলিশী অভিযানে জহিরুল প্রায় এক বছর আত্মগোপনে ছিল। সম্প্রতি সে বাড়িতে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে সে স্কুলের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ছুরিকাঘাতে জখম করে। 

ঘটনার খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এএসএম রিয়াদ হাসান গৌরব (ভারপ্রাপ্ত ইউএনও) আহত স্কুলছাত্রীকে হাসপাতালে দেখতে যান। এ সময় তার চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন এবং পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। 

ইত্তেফাক/অনি