শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বেনাপোলে যাত্রীদের ভিড়, হয়রানির অভিযোগ

আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০১৯, ১৮:৫৫

কোরবানির ঈদের লম্বা ছুটি কাটাতে বেনাপোল চেকপোস্টে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কেউ যাচ্ছেন বেড়াতে, আবার কেউ চিকিৎসা করাতে। অধিকাংশ পর্যটকের সঙ্গে রয়েছে পরিবার-পরিজন।যাত্রীদের অভিযোগ, ইমিগ্রেশন পুলিশের কার্যক্রমে রয়েছে ধীরগতি। রোদ-বৃষ্টিতে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে শিশু ও রোগীদের নিয়ে বিপাকে অনেকেই। প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে সংরক্ষিত এলাকায় বহিরাগতদের যানবাহন থাকায় যাত্রীরা মেইন সড়কে দাঁড়িয়ে থাকছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। 

জানা গেছে, বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার পাসপোর্ট যাত্রী দুই দেশের মধ্যে চলাচল করে থাকেন। এবার কোরবানির ঈদের লম্বা ছুটি পাওয়ায় বাংলাদেশী যাত্রীদের ভারতে যাওয়ার পরিমাণ ব্যাপক হারে বেড়েছে। অন্য সময়ের তুলনায় এখন দ্বিগুণের চেয়ে বেশি যাত্রী ভারতে যাচ্ছেন। প্রতিদিন এ চেকপোস্ট দিয়ে পাঁচ হাজার থেকে ছয় হাজার পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে যাচ্ছেন। যাত্রীদের সঙ্গে থাকা শিশু, রোগী ও বয়স্ক যাত্রীদের প্রবেশে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছেনা। 

৮ আগস্ট থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত এ চেকপোস্ট দিয়ে প্রায় ৯৫ হাজার যাত্রী ভারতে যাতায়াত করেছেন। ভারত থেকে এসেছেন কম। তবে চলাচলে যাত্রীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। একজন পাসপোর্ট যাত্রীকে নো-ম্যান্স ল্যান্ডে পৌঁছাতে বাংলাদেশ সাইডে ৭ জায়গায় লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। যাত্রীরা বেনাপোল চেকপোস্ট  ইমিগ্রেশন পুলিশের সেবায় অসন্তুষ্ট। 

যাত্রীরা আরও অভিযোগ করে বলেন, কর্তব্যরত আনসার ও পুলিশের সদস্যরা অর্থের বিনিময়ে লাইন ছাড়া প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে যাত্রী ঢুকিয়ে দিচ্ছেন। তবে এসবি পুলিশ উপস্থিত থাকলে এমন অনিয়ম কিছুটা কম হয়।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে পার হয়ে  দুই দেশের নো-ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় আবারও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। ভারতীয় গেটে ধীর গতিতে পাসপোর্ট চেকিং করায় নো-ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লাইনের সারি আরও বাড়তে থাকে। 

আরও পড়ুন: ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় সংঘর্ষ, হিন্দুপাড়ার ২৫ বসতঘর ভাঙচুর

বেনাপোল কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা জানান,  চেকপোস্টে যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি করা হয়েছে। যাত্রী হয়রানি ঠেকাতে আমার তদারকি করছি। রোগী ও শিশু সঙ্গে থাকা যাত্রীদের লাইন ছাড়া প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।  

ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি আবুল বাশার জানান, ঈদের লম্বা ছুটির কারণে অন্য সময়ের চেয়ে এখন দ্বিগুণ যাত্রী ভারতে যাচ্ছেন। আনসার বা পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ইত্তেফাক/অনি