মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গৌরনদীতে ডেঙ্গুতে গৃহবধূর মৃত্যু, সুচিকিৎসা নেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে

আপডেট : ২২ আগস্ট ২০১৯, ১৮:০৪

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার পিংগলাকাঠি গ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৪ সন্তানের জননী গৃহবধূ নাছিমা বেগমের (৩৫) মৃত্যূ হয়েছে। চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে মঙ্গলবার রাতে তিনি মারা যান। তিনি পিংগলাকাঠি গ্রামের মোল্লার খাল পাড় নামক স্থানের আবুল মোল্লার স্ত্রী। এদিকে একই গ্রামে তারই প্রতিবেশী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৭ জন পেপে পাতার রস খেয়ে সম্পূর্ণরূপে সুস্থ হয়েছেন বলে রোগীরা দাবি করেছেন।

জানা গেছে, পিংগলাকাঠি (মোল্লারখাল পাড় নামক স্থানের) গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত বিজিপি সদস্য ও সাউথ এশিয়ান ক্রাইম ওয়াচ সোসাইটির গৌরনদী উপজেলার সভাপতি সিরাজ ফকির (৫২), তার কন্যা বরিশাল বিএম কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী অন্তরা (২০), প্রতিবেশী জলিল সরদার (২২), সুমন হাং (২০), জুরাল ফকির (৩২), ইব্রাহিম সরদার (২২), রেনু বেগম (৪০) ও নাছিমা বেগম (৩৫) কোরবানীর ঈদের পর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। তারা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে স্থানীয় গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎস্যা নিতে যান। কিন্তু সেখানে ডেঙ্গুর চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় তারা নিরাশ হয়ে বাড়ি ফেরেন।

এরপর প্রতিবেশী ডেঙ্গু আক্রান্ত সিরাজ ফকিরের পরামর্শে পেপে পাতার রস খেয়ে নাছিমা বেগম বাদে তারা সবাই সম্পূর্ণরূপে সুস্থ হন। তবে ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া নাছিমার পরিবারের সদস্যরা তাকে (নাছিমাকে) পেপে পাতার রস খাওয়াননি বলে জানা গেছে।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত অবসরপ্রাপ্ত বিজিপি সদস্য ও সাউথ এশিয়ান ক্রাইম ওয়াচ সোসাইটির গৌরনদী উপজেলার সভাপতি সিরাজ ফকির (৫২) বলেন, 'কোরবানীর ঈদের দিনে আমি ও আমার কন্যা অন্তরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হই। একইসঙ্গে আমার প্রতিবেশী আরও ৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। আমি ও আমার কন্যা অন্তরাকে গৌরনদীর স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় আমি ও আমার কন্যার ডেঙ্গু ধরা পরে। গৌরনদীতে ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা না থাকার কারণে আমি চিন্তিত হয়ে পড়ি। এরপর আমার পুত্র ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান ইন্টারনেটের মাধ্যমে পেপে পাতার রস খেলে ডেঙ্গু ভাল হয় বলে জানতে পারে। পুত্রের পরামর্শে আমি ও আমার কন্যা দৈনিক সকাল-বিকাল ও দুপুরে আধা কেজি করে পেপে পাতার রস ও ১টি করে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাওয়া শুরু করি। ৭ দিনের মধ্যে আমরা ২ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হই। আমার পরামর্শে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আমার প্রতিবেশীরা পেপে পাতার রস খেয়ে আরোগ্য লাভ করেন।'

আরও পড়ুন: ভোলায় রাস্তায় দই ফেলে প্রতিবাদ

পেপে পাতার রস খেলে ডেঙ্গু ভালো হয় এ বিষয়টি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বিপুল বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'এ ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই। চিকিৎসা বিজ্ঞানে নেই। তাই আমরা কাউকে এ ধরনের পরামর্শ দিতে পারি না।'

ইত্তেফাক/নূহু