বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

উলিপুরে ক্রয় কেন্দ্র না থাকায় ন্যায্যমূল্য বঞ্চিত পাটচাষীরা

আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০১৯, ১৭:২২

কুড়িগ্রামের উলিপুরে সরকারী ও বেসরকারী ক্রয় কেন্দ্র না থাকায় ন্যায্যমূল্য ‌থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পাটচাষীরা।পাটক্রয় কেন্দ্র না থাকায় একশ্রেণির ফড়িয়া ও পাট ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে পাট কিনে মজুদ করছে। এ অঞ্চলের কৃষকরা সাম্প্রতিক বন্যার ধকল কাটা‌তে অর্থের অভাবে কমমূল্যে পাট বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১ হাজার ৯৪৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ২ হাজার ৬৭৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৩৭৫ মন পাট।

এদিকে, উপজেলায় পাট ক্রয়কেন্দ্র না থাকায় সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে পাট বিক্রি করতে পারছেন না চাষীরা। চাষীদের আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় প্রতি মণ পাট ব্যবসায়ীদের কাছে ১৪০০-১৫০০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভের মুখ দেখছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পাট চাষীরা। চাষীদের দাবি সরকারিভাবে উপজেলায় পাট ক্রয় কেন্দ্র খোলা হলে তারা লাভবান হবেন।

উপজেলার নারিকেল বাড়ি গ্রামের পাটচাষী হাফিজার রহমান জানান, তিনি চলতি বছরে ২ একর জমিতে পাট চাষ করেছিলেন। বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় পরিপক্ক না হলেও পাট কেটে জাগ দিতে হয়েছে। পাট কাটা থেকে শুরু করে শুকানো পর্যন্ত মন প্রতি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৩ শত টাকা খরচ হয়েছে। সরকারিভাবে উপজলায় পাট ক্রয় কেন্দ্র খোলা হলে চাষীরা লাভবান হতেন।

একই কথা জানালেন ওই গ্রামের কৃষ্ণ চন্দ্র, কালিপদ, মোজাম্মেলসহ অনেক কৃষক। পাট ব্যবসায়ী জোবেদ আলী, রুহুল আমিন, একরামুল হক ,সামছুলসহ অনেকে  জানান, পাটের গুণগত মানের ওপর ১২ শত থেকে ১৮ শত টাকায় প্রতিমন পাট কেনাবেচা হচ্ছে। তবে অনেক কৃষক পাটখড়ি বিক্রি করে লাভবান হওয়ার আশা করছেন।

আরও পড়ুন: পুলিশ বেশি টাকা চাওয়ায় বেপরোয়া ট্রাকচালক, নিহত হলেন মোটরসাইকেল আরোহী

উপজেলা কৃষি অ‌ফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, চাষীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তারপরও চাষীরা সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ দেওয়ায় পাটের রং কিছুটা নষ্ট হয়ে যায়। তবে সরকারীভাবে ক্রয় কেন্দ্র খোলা হলে চাষীরা ন্যায্যমূল্য পেতেন।

ইত্তেফাক/নূহু