বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

১১ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের খুঁটি ভেতরে রেখেই ভবন নির্মাণ

আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০১৯, ১৯:৫৫

১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের খুঁটি ভেতরে রেখেই নির্মাণ করা হয়েছে ভবন। এতে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকায় শফিকুল ইসলাম নামে এক প্রবাসী ভবনটি নির্মাণ করেন।

জানা গেছে, প্রায় ৮ বছর আগে তিনি এই ভবনটি নির্মাণ করেন। ভবন নির্মাণের কোন নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই বিদ্যুতের খুঁটি ভেতরে রেখেই ভবনটি নির্মাণ করেন প্রবাসী শফিকুল ইসলাম। বর্তমানে দ্বিতল ভবনটিতে ঝুঁকি নিয়ে ভবনের মালিকসহ আটটি পরিবার বসবাস করছে। ভবনটির ছাদের মাত্র তিন ফুট ওপর দিয়ে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের লাইন সরবরাহ হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, নির্মাণের সময় ভবন মালিককে নিষেধ করলেও তারা তা শুনেন নি। তাছাড়া বিদ্যুৎ অফিস থেকেও কেউ ভবন নির্মাণে বাধা দিতে আসেনি।

আরো পড়ুন: চুক্তিবদ্ধ হলেন অভিনেতা সিয়াম

এ বিষয়ে ভবনের মালিক শফিকুল ইসলাম জানান, ভবনটি নির্মাণের সময় ঘোড়াশাল পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে খুঁটি সরানোর জন্য একাধিকবার আবেদন করলেও তারা কোন কর্ণপাত করেনি। একপর্যায়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ভবনটি নির্মাণ করতে বাধ্য হয়েছি। পৌরসভা থেকে ভবনের প্ল্যান অনুমোদন নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, পৌরসভার প্রকৌশলী সরেজমিনে এসে দেখে শুনে প্ল্যান অনুমোদন দিয়েছেন।

এ বিষয়ে ঘোড়াশাল পৌরসভার প্রধান প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন বলেন, তিনি এক বছর আগে এই পৌরসভায় যোগদান করেছেন। তাই এই বিষয়টি তার জানা নেই। তবে কোন ভবনের প্ল্যান অনুমোদন হওয়ার আগে ভবনের আশেপাশে কোন বিদ্যুতের খুঁটি বা রাস্তার পর্যাপ্ত জায়গা ঠিক রেখে প্ল্যান অনুমোদন দেওয়া হয়। এখানে সেই নিয়ম দেখা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।

আরো পড়ুন: ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কাশ্মীরে প্রবেশে বাঁধা কেন’

পল্লী বিদ্যুৎ ঘোড়াশাল জোনাল অফিসের ডিজিএম শাহাদাত হোসেন জানান, ওই ভবনটি নির্মাণের আগে থেকেই সেখানে বিদ্যুতের খুঁটি ছিল। ভবন নির্মাণের সময় মালিক পক্ষকে বিদ্যুতের খুঁটি থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে ভবন নির্মাণ করার জন্য অনেক বার বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি এর কোন তোয়াক্কা না করে ভবনটি নির্মাণ করেন।

ইত্তেফাক/বিএএফ