নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবসে দিনাজপুরের বিরলে এক গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের পর সালিসের নামে উল্টো ওই গৃহবধূকে নির্যাতন চালিয়ে হাত ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মাতব্বর ও ধর্ষকের লোকজনের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ওই গৃহবধূ থানায় মামলা দায়ের করলে শনিবার বিকেলে ধর্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিরল থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিরল উপজেলার ১২নং রাজারামপুর ইউনিয়নের মালঝাড় গ্রামের ৩৫ বছর বয়সী এক গৃহবধূ শুক্রবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে নিজ ঘরে একাকী অবস্থান করছিলেন। এসময় পার্শ্ববর্তী দিনাজপুর সদর উপজেলার মাঝাডাঙ্গা গ্রামের মনতাজ আলীর বখাটে পুত্র সুমন (৩৭) ওই ঘরে প্রবেশ করে একা পেয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এসময় গৃহবধূর চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন এসে ধর্ষক সুমনকে হাতে-নাতে ধরে ফেলে।
এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই ঘটনাস্থলে স্থানীয় মাতব্বর ও ধর্ষকের লোকজন ছুটে আসে। এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য তারা ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে উল্টো ধর্ষিতাকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী নির্যাতন চালিয়ে ধর্ষিতার ডান হাত ভেঙ্গে দেয়। খবর পেয়ে রাত ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুকুল চন্দ্র রায়। তার উপস্থিতিতে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও কৌশলে ধর্ষক সুমন পালিয়ে যায়।
শনিবার সকালে এ বিষয়ে ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে বিরল থানায় সংশ্লিষ্ট ধারায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর বিকেলে ধর্ষক সুমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিরল থানার ওসি এটিএম গোলাম রসুল জানান, ধর্ষিতার এজাহার পাওয়ার সঙ্গেসঙ্গে মামলা রুজু করে ধর্ষক সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূকে চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ইত্তেফাক/এমআই