রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা গুলোতে মাদকের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। এর ফাঁদে এলাকার তরুণ, যুবকরা। সম্প্রতি মাদকসেবী সন্তানকে পুলিশে দিতে থানায় এসে আকুতি জানাচ্ছেন অনেক অভিভাবক। এমন দুইজন মায়ের সঙ্গে রবিবার সকালে থানায় দেখা হয় এ প্রতিবেদকের।
এদের একজনের নাম হাওয়া বেগম। তার সন্তান হেরোইনে আসক্ত। তিনি মাদকাসক্ত সন্তান হাফিজুলকে (৪০) জেলে পাঠানোর জন্য পুলিশের কাছে আকুতি জানিয়েছেন।
হাওয়া বেগম জানান, অভাবের সংসারে তার ছোট বোন খাওয়ার জন্য ২৫ কেজি ধান দিয়েছেন। কিন্তু ছেলে হাফিজুল (৪০) ধান চুরি করে বাজারে বিক্রি করেছে। এর আগে বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে ঘরের টিন খুলে বিক্রি করেছে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ বৃদ্ধ বাবা-মা।
অপর একজন মা সফুরা বেগম। তিনি বাঘা থানা পুলিশের কাছে সন্তান তফিকুল ইসলামকে (৩০) ধরে জেলে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, নেশার টাকা দিতে না পারায় ছেলে বাড়ির টিউবওয়েলের হ্যান্ডেল চুরি করে বিক্রি করেছে। এর আগে টাকা না পেয়ে সে তার মা-বাবাকে মারপিট করেছে।
এ ঘটনা শুধু ওই দুই পরিবারের নয়। এমন ঘটনা হর হামেশেই ঘটছে বাঘা সদরসহ সীমান্তবর্তী এলাকা গুলোতে। অনেকেই বলছেন, বর্তমানে বাঘায় মাদক সেবনের প্রবণতা এতোটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, প্রায়শ দুই-একজন অভিভাবককে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিংবা থানা পুলিশের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মসজিদের বাথরুমের ছাদ থেকে ১৩ ককটেল উদ্ধার
বাঘা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আব্দুল ওহাবের দেওয়া তথ্য মতে, গত এক মাসে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মাদক সেবনের দায়ে প্রায় ৮-১০ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, নির্দিষ্ট করে বলতে পারবনা। তবে মাঝে মধ্যে দুই একজন অভিভাবক মাদক সেবনের বিষয়ে সন্তানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে এসেছেন। আমি আলামতসহ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের সাজা দিয়েছি।
ইত্তেফাক/অনি