শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

দাদীর অসাবধানতায় নাতনীর মৃত্যু

আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:১৬

রাজশাহীর বাগমারায় অসাবধানতাবশতঃ দাদীর হাতে মুনছুরা মনো (১১) নামের তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের পোড়াকয়া গ্রামে।

মুনছুরা মনো চকমহববতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। এই ঘটনায় পুলিশ নিহতের দাদী মেহেরজান বেগমকে (৫৫) আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। নিহত মুনছুরা মনোর মা পারুল বিবি বাদী হয়ে মেজেরজানকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ নিহত মুনছুরার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

বাগমারা থানার মামলা ও এলাকার লোকজন জানান, উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের পোড়াকয়া গ্রামের মুন্টু মিয়ার মৃত্যুর পর তার মেয়ে মুনছুরা মনো দাদা মঞ্জুর রহমান ও দাদী মেহেরজানের কাছে মানুষ হচ্ছিল। তারা মুনছুরা মনোকে চকমহববতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনার জন্য ভর্তি করে দেন। মুনছুরা মনো তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুনছুরা মনোর দাদা মঞ্জুর রহমান দোকানে চা খেতে গেলে দাদী মেহেরজান ও মুনছুরার মধ্যে হাঁসি আলাপ চলছিল। হাঁসি আলাপের এক পর্যায়ে মুনছুরা মনো তার দাদী মেহেরজানকে ধাক্কা দেয়। মেহেরজান সেখান থেকে উঠে মুনছুরা মনোকে মারতে উদ্যত হলে সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। মুনছুরার দাদী মেহেরজান অসাবধানতাবশতঃ পিছন থেকে মুনছুরার গলার ওড়না টেনে ধরলে সে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে এবং মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে। দাদী মেহেরজান বিষয়টি বুঝতে না পেরে মুনছুরার দাদাকে ডেকে পাঠায়। তিনি বাড়িতে এসে মুনছুরার এমন দৃশ্য দেখে এলাকার লোকজনকে জানালে তারা বাগমারা থানার পুলিশকে অবহিত করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত মুনছুরার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এই ঘটনায় পুলিশ নিহত মুনছুরার দাদী মেহেরজানকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার ওসি আতাউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহত মুনছুরার লাশ ময়না তদন্তের জন্য উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের মা পারুল বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় দাদী মেহেরজানকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

ইত্তেফাক/এসএস