শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পাবনায় গৃহবধূ ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার আরো ১

আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৪:৩৮

পাবনায় গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আরো এক আসামী ওসমান আলীকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ওসমান সদর উপজেলার সাহাপুর যশোদল গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে।

 

পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার ভোরে শহরের সিংগা বাইপাস এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর মাধ্যমে মামলার পাঁচ আসামির সবাইকে গ্রেফতার করা হলো। এর আগে বিভিন্ন সময়ে অপর চার আসামি রাসেল আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ঘন্টু, আলী হোসেন ও সঞ্জু হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে রাসেল আহমেদ ও আলী হোসেন নামের দুই আসামি ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

 

উল্লেখ্য, মোবাইলে প্রেমের সূত্র ধরে পাবনা সদর উপজেলার সাহাপুর যশোদল গ্রামের এক গৃহবধূকে গত ২৯ আগস্ট রাতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে রাসেল নামের এক যুবক। তারপর আরো কয়েকজন তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওই গৃহবধূর।

 

পরে ওই ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে ৫ সেপ্টেম্বর পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে, পুলিশ অভিযুক্ত রাসেলকে আটক করে। তবে মামলা নথিভুক্ত না করে ভুক্তভোগী নারীর সাথে থানা চত্বরে অভিযুক্ত প্রেমিক  ধর্ষক রাসেলের সাথে ওই নারীকে জোরপূর্বক বিয়ে দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ ওঠে ওসির বিরুদ্ধে।এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে পুলিশ সুপারের নির্দেশে ৯ সেপ্টেম্বর তদন্ত কমিটি গঠন ও মামলা নথিভুক্ত করা হয়। আর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর সত্যতা পাওয়ায় বৃহস্পতিবার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবাইদুল হককে প্রত্যাহার ও বিয়েতে সহায়তা করায় উপ-পরিদর্শক একরামুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

 

এদিকে পাবনায় ধর্ষণের শিকার নারীর সাথে থানায় অভিযুক্তের বিয়ের ঘটনায় পাবনা জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।পাবনার জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের নির্দেশে পাবনা জেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

 

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ নেওয়াজকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন, সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইবনে মিজান ও ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. কে এম আবু জাফর। কমিটিকে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

 

ইত্তেফাক/এএম