প্রায় ১৫ বছর আগে জনস্বার্থে গ্রামীণ মাটির সড়কে নির্মাণ করা হয়েছিলো একটি সেতু। কিন্তু তারপর থেকেই ওই সড়কটি যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পরে। ফলে একটি গ্রামের মানুষজনদের এখন প্রায় ৩ কিলোমিটার পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের বুজরুক পাকুরিয়া দেখা মেলে সেতুটির। মূলত নির্মাণের পর সেতুর সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট না করায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সাদুল্লাপুর উপজেলার বুজরুক পাকুরিয়া গ্রাম থেকে সাদুল্লাপুর-ঠুটিয়াপকুর পাকা সড়কে উঠার সংযোগ সড়কটি হল ওই গ্রামের বেলাল হোসেনের বাড়ি থেকে এছাহাক আলীর বাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এই মাটির সড়ক। এই সড়ক দিয়েই পাকুরিয়া গ্রামের মানুষ চলাচল করতেন। প্রায় ১৫ বছর আগে আশপাশের কৃষি জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য কাঁচা সড়কে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এতে ব্যয় হয় প্রায় ৬ লাখ টাকা। ‘এসডিএফ’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা এই সেতু নির্মাণ করে। কিন্তু সেতু নির্মাণের ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও সংযোগ সড়কের মাটি ভরাট করা হয়নি। ফলে এটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
আরো পড়ুন: স্বামী বাসর ঘরে ঢুকে দেখলেন স্ত্রী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা
বুজরুক পাকুরিয়া গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে একাধিকার অবগত করলেও এই সংযোগ সড়কের সেতুটিতে মাটি ভরাট করা হচ্ছে না। ফলে এই গ্রামের লোকজনদের প্রায় তিন কিলোমিটার পথ ঘুরে সাদুল্লাপুর উপজেলা শহরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
একই গ্রামের কৃষক আছির উদ্দিন বলেন, সেতুর সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট না করায় এ পথে চলাচল করতে পারছি না। এলাকার শত শত মানুষকে বিকল্প সড়ক ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। ফলে আমরা নানা ধরণের দুর্ভোগে পড়েছি। সড়কে মাটি ভরাট করা হলে মানুষের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে।
একই গ্রামের শিক্ষক ইয়াছিন আলী বলেন, সেতুটি নির্মাণের পর দীর্ঘদিনের এই সড়কটির মৃত্যু হল।
আরো পড়ুন: সিম কার্ডের তথ্য লুটের কবল থেকে রক্ষা পাবেন যেভাবে
এসডিএফ-এর তৎকালীন গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন কমিটির সহ-সভাপতি আবেদ আলী বলেন, সেতুটি নির্মাণের পর মাটি ভরাটের জন্য কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তাই এখনো মাটি ভরাট করা যায়নি। ফলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
খোর্দ্দকোমরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম চৌধুরী শামীম বলেন, সেতু নির্মাণের আগে থেকেই সড়কটি দিয়ে মানুষজনের চলাচল ছিল না। পাশের পাকা সড়ক দিয়েই চলাচল করেন এলাকাবাসী। তারপরও এখানে সেতু নির্মাণ করা হয় কেন? জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, সেটা আমার জানা নেই।
সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নবী নেওয়াজ জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইত্তেফাক/বিএএফ