বর্তমানে মানব সেবায় যশোর জেলায় সেরা হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। প্রতিদিন এই সরকারি হাসপাতাল থেকে হাজার হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছে, বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন রকমের ওষুধ। যেখানে ২৯ জন চিকিৎসকের চিকিৎসা সেবা দেয়ার কথা সেখানে চিকিৎসা দিচ্ছেন স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তাসহ ৬ জন চিকিৎসক।
গুরুত্বপূর্ণ সার্জারি বিভাগের সার্জন ও এনেসথেসিয়া (অজ্ঞান) ডাক্তার না থাকায় বন্ধ হয়ে আছে আধুনিক সার্জারি বিভাগ। সিজারসহ অপারেশনের রোগীরা ছুটছেন প্রাইভেট ক্লিনিকে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সিজারের নামে গলা কাটছে প্রাইভেট ক্লিনিকগুলো। তবে সেবার বদলে পেশাদারী মনোভাবের কারণে এবং একই দিনে নির্ধারিত সীমার চেয়ে অধিক পরিমানে সিজার করার কারণে ক্লিনিকগুলোতে ঘটছে অনাকাংখিত মৃত্যুর ঘটনা।
নওয়াপাড়া পৌর এলাকার বুইকারা গ্রামের অন্তঃসত্তা মা নাদিয়া বেগম বলেন, অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারদের সুনাম শুনে প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি না হয়ে এখানে ভর্তি হয়েছি। পরে জানতে পারি অপারেশনের ডাক্তার নেই, তারপরেও স্বাভাবিক ডেলিভারির অপেক্ষায় এখানে রয়েছি। তবে সমস্যা হলে ছুটতে হবে প্রাইভেট ক্লিনিকে। আর সেই সুযোগে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
স্থানীয়রা ও সেবা নিতে আসা রোগীরা জানান, ডাঃ এস.এম মাহমুদুর রহমান রিজভী যোগদান করার পর সরকারি হাসাপাতালে সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ রোগীরা বিনামূল্যে পাচ্ছেন হার্ট, ডায়েবেটিস, এন্টিবায়োটিক, প্যারাসিটামল, গ্যাসের ঔসধসহ বিভিন্ন প্রকার ঔষধ। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং পুরো হাসপাতালকে সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন।
হাসপাতালের ওটির বিষয়ে ডাঃ এস.এম মাহমুদুর রহমান বলেন, এই হাসপাতালের দুইটি ওটি আধুনিক। তবে ডাক্তার সংকটের কারণে সার্জারি বিভাগের যন্ত্রপাতি নষ্ট হতে চলেছে। তিনি আরও জানান দ্রুত সময়ের মধ্যে একজন গাইনি, একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, একজন সার্জন, একজন ইএনটি ও একজন এ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার চেয়ে যশোর জেলা সিভিল সার্জন বরাবর আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে যশোর সিভিল সার্জন ডাঃ দিলিপ জানান, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অভাব, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে।
ইত্তেফাক/আরকেজি