বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

ভাবীর পরকীয়া দেখায় জীবন দিতে হলো দেবরকে

আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:৪৬

নিখোঁজের তিনদিন পর সোমবার সাঁথিয়া উপজেলার হাসানপুর রেল লাইনের নিচ থেকে কাওছার (১৭) নামে এক যুবকরে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় কাওছারের ভাবীসহ ৩ জন আটকের পরে এ হত্যাকাণ্ডের ‘ক্লু’ উৎঘাটন করেছে পুলিশ। আপন ভাবীর সঙ্গে খালাতো ভাইয়ের পরকীয়া সম্পর্ক দেখে ফেলায় কাওছারকে খুন করা হয় বলে গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

নিহত কাওছার পাবনার সাঁথিয়ায় হাসানপুর গ্রামের খালেক মোল্লার ছেলে।

কাওছার হত্যায় মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার খালইভরা গ্রামের দুলালের ছেলে রুবেল (১৯) ও হাসানপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী কাওছারের ভাবী মুসলিমা (২৬), উপজেলার পুরাট গ্রামের শুকুরের ছেলে মালেককে (১৮) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার পাবনা আদালতে আসামিদের হাজির করলে তারা হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

আরো পড়ুন: কৃত্রিম হৃদযন্ত্র নিয়ে সুস্থ আছেন ১০ বছর, গড়েছেন রেকর্ড

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, হাসানপুর গ্রামের খালেক মোল্লার বাড়িতে (খালুর বাড়িতে) থাকাকালে তার বড় ছেলের স্ত্রীর সঙ্গে উপজেলার পুরাট গ্রামের শুকুরের ছেলে মালেকের (১৮) অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্ক তার খালাতো ভাই কাওছার দেখে ফেলেন। এরপর অবৈধ সম্পর্ক টিকিয়ে ও সংসার রক্ষায় আপন ভাবী কাওছারকে হত্যার পরিকল্পনা করে। প্রথমে মালেককে দিয়ে দেবরকে হত্যা পরিকল্পনা করে ভাবি। মালেক তার খালাতো ভাইকে হত্যা করতে পারবে না জানালে অন্যদের সহায়তা নিতে বলে ভাবী। এরপর এলাকার ৪ বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে হত্যার পরিকল্পনা করে মালেক। ঘটনার শুক্রবার রাতে কাওছারকে গাঁজা খাওয়ার কথা বলে প্রথমে হাসানপুরের সুমনের মৎস্য খামারে নিয়ে যায়  মালেক। এরপর সেখান থেকে কাওছারকে কৌশলে পাশের রেল লাইনে নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে তার। মৃত্যু নিশ্চিত করতে চারজন মিলে রেলের পাতে মাথায় আঘাত করতে থাকে। পরে শরীরের শার্ট ও গেঞ্জি দিয়ে হাত পা বেঁধে পাশের খালে ফেলে দেয়।

সাঁথিয়া থানার এসআই রাশেদুল ইসলাম জানান, ভাবীসহ ৫ জন আসামির মধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাকীদের আটকের চেষ্টা চলছে। আটককৃতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

ইত্তেফাক/বিএএফ