মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সাদা কাগজে সই নিয়ে এজাহার বদলে দেওয়ার অভিযোগ

আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৩:০৮

রাজশাহীতে উর্মি পরিবহনের বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত ডিম বিক্রেতার পা কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় পা কেটে বাদ দেওয়ার কথা উল্লেখ নেই। শুধু বলা হয়েছে বাসের ধাক্কায় সুলতানের পা গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়েছে। মামলার বাদী দাবি করেছেন, সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে পুলিশই নিজের মতো এজাহার তৈরি করেছে।

ঘটনাটি রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার। মামলায় তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ১৯ সেপ্টেম্বর। সময় ১টা ৩৫ ঘটিকা। গত বুধবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহী নগরের মতিহার থানার বিনোদপুর এলাকায়। ঐ রাতেই রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ডিম বিক্রেতা সুলতান মোল্লার (৪০) উরু থেকে বাম পা কেটে বাদ দিতে হয়েছে। তিনি রামেক হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিত্সাধীন রয়েছেন।

আরো পড়ুন: চলে গেলেন আবৃত্তিকার কামরুল হাসান মঞ্জু

তার বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পালি মোড় এলাকায়। সুলতানের স্ত্রী রিনা খাতুন জানান, তার স্বামী দুর্গাপুরের একটি খামার থেকে ডিম নিয়ে রাজশাহীর আরডিএ মার্কেটে সরবরাহ করতেন। সেদিন সকালেও তিনি ডিমের ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হলে দুর্ঘটনার শিকার হন। তার অস্ত্রোপচারের সময় চার ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে। যে গাড়ির ধাক্কায় সুলতানের পা কাটা গেছে সেই পরিবহন কর্তৃপক্ষ কোনো খোঁজ নেয়নি। সুলতানের বড়ো ভাই আবদুল হান্নান জানান, তার ভাইয়ের স্ত্রী রিনা বেগম লেখাপড়া জানেন না। শুধু নাম স্বাক্ষর করতে পারেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত প্রায় আড়াইটার দিকে নগরীর মতিহার থানার এসআই সিদ্দিক হাসপাতালে গিয়ে মামলা করার জন্য রিনা বেগমকে ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে জোর করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে নিয়ে আসেন।

নগরীর মতিহার থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার যে ধারা মামলায় তাই ব্যবহার করা হয়েছে। পা কেটে ফেলে দিলেও যে ধারা, গুরুতর রক্তাক্ত জখম হলেও সেই ধারা। তিনি বলেন, দুই পক্ষই এটা মীমাংসার চেষ্টা করছে। হাসপাতালে গিয়ে পুলিশের সাদা কাগজে সই নিয়ে এসে নিজের মতো এজাহার সাজানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে ওসি কোনো মন্তব্য করেননি।

ইত্তেফাক/বিএএ