শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

উখিয়ায় ফোর মার্ডার ঘটনায় গ্রেফতার ২

আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০১৯, ০১:৫৬

কক্সবাজারের উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের পূর্ব রত্নাপালং বড়ুয়া পাড়ায় রাতে একই পরিবারের ৪ জনকে জবাই করে হত্যার ঘটনার ১৪ দিনের মাথায় অবশেষে দু’জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গ্রেফতারদের মধ্যে রয়েছে হত্যার শিকার কিশোরীর মাও। অন্যজন নিহতদের নিকটাত্মীয়।

আদালতের আদেশে বুধবার সন্ধ্যায় আটকদের কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) নুরুল ইসলাম মজুমদার।

গ্রেফতাররা হলেন, উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের  শিপু বড়ুয়ার স্ত্রী রিকু বড়ুয়া (২৮) ও রামু উপজেলার রাজারকুল গ্রামের  রোমেল বড়ুয়ার ছেলে উজ্জ্বল বড়ুয়া (২৪)।

আরও পড়ুন: এজাহারভুক্ত ৯ আসামি এখনো পলাতক

উখিয়া থানার ওসি মো. আবুল মনসুর জানান, গ্রেফতার দু’জনই রোকেন বড়ুয়ার নিকটাত্মীয়। তারমধ্যে রিকু বড়ুয়া প্রবাসী রোকেন বড়ুয়ার সেজ ভাই শিপু বড়ুয়ার স্ত্রী এবং ফোর মার্ডারের শিকার সনী বড়ুয়ার (৬) মা। অপরজন রোকেন বড়ুয়ার ভাগ্নি জামাই উজ্জ্বল বড়ুয়া। উজ্জ্বল বড়ুয়ার বাড়ি রামু উপজেলার রাজারকুল। উজ্জ্বল বড়ুয়াকে মঙ্গলবার ৮ অক্টোবর দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তার শ্বশুরবাড়ি উখিয়া উপজেলার কুতুপালং থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরই রিকু বড়ুয়াকে তার স্বামীর বাড়ি পূর্ব রত্না বড়ুয়া পাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম মজুমদার  বলেন, বুধবার বিকেলে গ্রেফতার দু’জনকে আদালতে চালান দেয়া হয়। আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। সন্ধ্যায় তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
 
প্রসঙ্গত, উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের পূর্ব রত্নাপালং বড়ুয়া পাড়ায় প্রবাসী রোকেন বড়ুয়ার বাড়িতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার দিবাগত রাত্রে রোকন বড়ুয়ার মা সুখী বালা বড়ুয়া (৬৫), সহধর্মিণী মিলা বড়ুয়া (২৫), একমাত্র ছেলে রবিন বড়ুয়া (৫) ও ভাইঝি সনি বড়ুয়াকে (৬) দুর্বৃত্তরা জবাই করে হত্যা করে। এরমধ্যে, নিহত রবিন বড়ুয়া রুমখা সয়েরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিক শ্রেণির ছাত্র এবং সনি বড়ুয়া একই স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

এ বিষয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর উখিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় নিহত মিলা বড়ুয়ার বাবা ও রোকেন বড়ুয়ার শ্বশুর শশাংক বড়ুয়া বাদী হন। এজাহারে সুনির্দিষ্ট কাউকে আসামি করা হয়নি। আসামি অজ্ঞাত হিসাবে এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।

ইত্তেফাক/এমআরএম