শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

তাড়াশে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চিকিৎসক-কর্মচারীদের মানববন্ধন

আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০১৯, ১১:৫০

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. ফরিদা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে ওই মানববন্ধনে সকল চিকিৎসক-কর্মচারীরা অংশ নেন।

মানববন্ধনে দেয়া বক্তব্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. শিমুল তালুকদার, ডা. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. মিজানুর রহমান ও সার্জারি কনসালট্যান্ট ডা. মোস্তাফিজুর রহমান অভিযোগ করেছেন, কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই তিনি (ডা. ফরিদা ইয়াসমিন) সকল ডাক্তার কর্মচারীদের সাথে প্রায়শই চরম দুর্ব্যবহার করে থাকেন। তার দুর্ব্যবহার সইতে না পেরে ইতোমধ্যে তিনজন চিকিৎসক চলে গেছেন। এছাড়া আরো অনেকেই বদলির জন্য আবেদন করে রেখেছেন।

তারা আরো বলেন, নিয়ম বহির্ভূতভাবে তিনি তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক সারা বাংলাদেশের ডাক্তারদের কাছে পদোন্নতির জন্য চিঠি আসে এ বছর মে মাসের ১৯ তারিখে। স্বারক: উএঐঝ/ পার-তথ্য/১১/৪৯/২১/১৯। অথচ তিনি ওই তারিখেই স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। আর কথায়-কথায় তিনি সবাইকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভয় দেখান। বক্তারা এও বলেন, তার কোনো মানসিক রোগ আছে কি না চিকিত্সা হওয়া প্রয়োজন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স স্টাফ তাহিরা খাতুন, লায়লা সুলতানা, আঞ্জুয়ারা খাতুন, সুচিত্রা রানী শীল প্রমুখ অভিযোগ করেন, তাদের সাথে তিনি প্রায় সারাক্ষণ অমানবিক আচরণ করেন। তাদের সবাইকে তিনি বলেন, যাদের চতুর্থ শ্রেণিরও কর্মচারী হওয়ার যোগ্যতা নেই তারা আবার দ্বিতীয় শ্রেণিতে চাকরি করছেন। আপনারা সবাই অসৎ উপায় ব্যবহার করে চাকরি নিয়েছেন। আপনাদের সন্তানরাও মানুষ হবে না। সব কুলাঙ্গার হবে।

এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইজন ড্রাইভার আব্দুল মোমেন সরকার ও নিরব মিয়া বলেন, তাদের চা পানের কাপ-প্রিজ দিয়ে পর্যন্ত ঢিল ছুড়ে মারা হয়েছে। একই জায়গায় (ড্রাইভার আব্দুল মোমেন সরকার) ২৭ বছর চাকরি করে তার (ডা.ফরিদা ইয়াসমিন) দূর্ব্যবহার সইতে না পেরে বদলির জন্য আবেদন করে রেখেছেন।

মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, মেডিকেল এসিটেন্ট, মাজেদুল ইসরাম, অফিস সহকারী বাবুল হোসেন, কেশিয়ার আব্দুল মান্নান, স্টোর কিপার শাহাদত হোসেন, ওয়ার্ড বয় মোতালিব হোসেন, নাইড গার্ড ঘোরা চাদ মিয়া, ঝাড়ুদার অর্চনা, সুইপার বাসন্তী রানী প্রমূখ। এদেরও অভিযোগ, হেন দূর্বব্যবহার নেই যা তাদের সাথেও করা হয় না।

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, তিনি কারো সাথেই কোনো রকমের দুর্ব্যবহার করেন না। কেউ প্রমাণ করতেও পারবেন না।

ইত্তেফাক/এএম