শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সুন্দরগঞ্জে ছাত্রীর আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী আসামিরা অধরা

আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০১৯, ১৭:০২

উপজেলায় বখাটেদের উৎপাতে ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামিরা এখনও অধরা। আসামিরা হলো, ইউনিয়নের নওহাটী চাচিয়া গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে আলামিন এবং তার সহযোগীরা। 

ওই ছাত্রীর নাম ইয়াসমিন আক্তার। সে উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চাচিয়া মীরগঞ্জ গ্রামের ইয়াসিন আলীর মেয়ে। চাচিয়া মীরগঞ্জ চরকের হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো সে।

জানা গেছে,  বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে প্রতিদিন ইয়াসমিনকে সঙ্গে নিয়ে আপত্তিকর কথাবার্তা বলে উত্যক্ত করে আসছিলো আলামিন ও তার সহযোগীরা। বিষয়টি ইয়াসিমেনর বাবা ইয়াসিন আলী আলামিনের পিতা-মাতাকে জানান। তাতে আলামিন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। 

এ অবস্থায় গত ১০ই সেপ্টেম্বর বিকেলে ইয়াসমিন আক্তার তার মামাতো ভাই-বোনসহ বাড়ির পাশে ব্রিজে গেলে আলামিন তার ৫-৬জন সহযোগী ইয়াসমিনকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর কথাবার্তা বলতে থাকে। এর প্রতিবাদ করলে আলামিন ও তার সহযোগীরা ইয়াসমিন ও তার ভাই-বোনদের এলোপাতাড়ি মারপিট করে ইয়াসমিনের শ্লীলতাহানি করে।

এ সময় তার চিৎকারে পিতামাতা ও আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে লাঞ্ছিত অবস্থায় ইয়াসমিনকে উদ্ধার করে। এ লাঞ্ছনা সহ্য করতে না পেরে সবার অজান্তে ওই রাতেই বাড়ির সামনে আম গাছের ডালে ওড়না পেচিয়ে সে আত্মহত্যা করে। 

এ ব্যাপারে ইয়াসমিনের পিতা ইয়াছিন আলী আলামিনসহ ৬জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলা দায়েরের ১মাস অতিবাহিত হলেও আসামিরা কেউ ধরা পড়েনি। 

আরও পড়ুন: বরগুনায় বাস দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ২ জন নিহত

এ নিয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ এসএম আব্দুল সোবাহান বলেন, এ মামলার আসামিরা পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না।

ইত্তেফাক/নূহু